Sunday, June 22, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঅবৈধ ভাবে ৫ লক্ষ টাকার কাপর ও বাজী পাচার কালে তিনটি গজারি...

অবৈধ ভাবে ৫ লক্ষ টাকার কাপর ও বাজী পাচার কালে তিনটি গজারি সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২১শে মে…..ভারত সরকার যখন বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক অনেকটাই ইতি টানবার চেষ্টা করছেন। কারণ বাংলাদেশের দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় উস্কানি মূলক আলোচনা করছেন। বারবার তাদের দেশের কুচকক্রীরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে । সব কিছু মিলিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্প্রীতি একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যে সিদ্ধান্তটা হল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্কে মধ্যে কিছু বিধি নিষেধ প্রয়োগ করেছেন । অন্যদিকে দেশের একাংশ লোক অতি মুনাফার লোভে চোরাই পথে গোপনে পাচার বাণিজ্য করে চলেছেন এমনই একটি বিষয় মঙ্গলবার রাতে ঘটে খোয়াই রাম ঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় ।গোপন খবরের ভিত্তিতে খোয়াই থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে সুভাষ পার্ক রাম ঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন এলাকার অমর ঘোষের বাড়ি থেকে অবৈধ কুড়ি বান্ডিল কাপড়ের ব্যাগ এবং বাজি উদ্ধার করে।মঙ্গলবার রাতে গোপন খবরের ভিত্তিতে খোয়াই মহকুমার পুলিশ আধিকারিক খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার ও খোয়াই সুভাষ পার্ক পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রঞ্জিত সরকার সহ পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেই বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশের কাছে গোপন খবর ছিল এই মালামাল গুলি বাংলাদেশে পাচার হবে। এবং এই সামগ্রী গুলির যথাযোগ্য কাগজপত্র পায়নি পুলিশ। সেই ভিত্তিতে সেখানে হানা দিয়ে চারজনকে আটক করে খোয়াই থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি আটক কৃত সেই মাল গুলিও খোয়াই থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জানা যায় যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তারা হলেন বিকাশ দেববর্মা, নলেস দেববর্মা এবং অমৃত দেবনাথ ও একটি গাড়ির চালক জোসেফ দেববর্মা। এই বিষয়ে পুলিশ জানায় আটক কৃত চারজনের মধ্যে নলেস দেববর্মা এক সময় ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলের এর ১০ নং ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত ছিলো । পরবর্তী সময় সেই চাকুরী ছেড়ে দেয়।এমন কি নলেস দেববর্মা নাকি কোন এক হত্যাকাণ্ড মামলার আসামি ও বলে পুলিশ জানায়। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ তিনটি গাড়িকে ও আটক করে।এর মধ্যে একটি বোলোরো গাড়ি অন্ন দুটি গাড়ি হল মাল বাহী পিকাপ ভ্যান। গাড়িগুলি নাম্বার যথাক্রমে টি আর 06 এ1879 , টি আর 06এ1507 এদিকে বুধবার দুপুরে আটক চারজন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। এবার প্রশ্ন হল খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাতে পাচারের উদ্দেশ্যে সামগ্রী এনে রাখা হতো। এবং এখান থেকে সহজে পাচারের উদ্দেশ্যে পাঠানো হতো। পুলিশ যাদেরকে সন্দেহমূলক ভাবে আটক করেছেন। আদৌ এই পাচার বাণিজ্যে শুধু এদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এটা ভাবার কোন কারণ নেই। এই পাচার বাণিজ্যটি পর্দার আড়াল থেকে পরিচালনা করার মাস্টার রয়েছেন বলে বুদ্ধিজীবী মহলের বক্তব্য। এখন দেখার বিষয় পুলিশ এই সমস্ত পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাই দেখার বিষয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two + 12 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য