বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৬ই মে…….প্রতিদিন খোয়াই শহরের আনাচে-কানাচে অবৈধ ড্রাগসের রমরমা বাণিজ্য চলছে একধারে, অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন প্রতিদিন ড্রাগ সেবনকারী থেকে শুরু করে চুনোপুটি ড্রাগস কারবারিদের আটক করে চলেছে । যদিও বা পুলিশ যে পদ্ধতি অবলম্বন করে চুনোপুটি ড্রাগস কারবারিদের আটক করছেন তাতে খোয়াই শহরের অবৈধ ড্রাগস এর ব্যবসার লাগাম কতটুকু টানা যাবে এই বিষয়টিকে নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলের বিভিন্ন মত রয়েছেন। বুদ্ধিজীবী মহলের অভিযোগ, পুলিশ যে পদ্ধতি অবলম্বন করে অবৈধ ড্রাগসের ব্যবসায়ীদের লাগাম টানবার চেষ্টা করছে, কিছুতেই অবৈধ ড্রাগসের ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন। এতেকরে শেষ হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ, শহরের প্রাণ কেন্দ্র গুলিতে অবৈধ ড্রাগস সেবনকারীদের দৌরাত্ম প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন চেহারা পরিলক্ষিত হয়েছে। বুদ্ধিজীবী মহলের দাবি এখনো সময় রয়েছে এই ড্রাগসের বিরুদ্ধে প্রতিটি এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক অবৈধ ড্রাগসের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার প্রয়োজন, অন্যথায় যুব সমাজ অবৈধ ড্রাগসের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। দেখতে দেখতে খোয়াই এর সংস্কৃতি শহরের তকমা হারিয়ে অবৈধ ড্রাগসের আঁতুড় ঘরে পরিণত হচ্ছে খোয়াই শহর। খোয়াই শহরের যে সমস্ত এলাকাগুলিতে ড্রাগস কারবারিরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন। ঐ সমস্ত এলাকা গুলির সামাজিক সংস্থাগুলি নিশ্চুপ কেন প্রশ্ন বুদ্ধিজীবীর মহল থেকে শুরু করে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণে। উপজাতি এলাকাগুলিতে যদি এন্টি ড্রাগস কমিটি গঠন করে এবং ভালো সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন, তবে কেন সমতলে ড্রাগস আসক্ত যুব সমাজকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট এলাকাতে এন্টি ড্রাগস কমিটি গঠন করা হয় না?বুদ্ধিজীবী মহলের অভিযোগ কেন সমতলে ড্রাগসের বিরুদ্ধে কথা বলতে এগিয়ে আসছে না সামাজিক সংস্থাগুলি। খোয়াই শহরের যে সমস্ত নির্ধারিত এলাকা গুলিতে অবৈধ ড্রাগ কারবারীদের আনাগোনা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকাগুলিতে ড্রাগস কারবারিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন সেই সমস্ত এলাকা গুলির সামাজিক সংস্থার মুরুব্বিরা কেন যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। পুলিশ কিন্তু পুলিশের মত করে কাজ করে যাচ্ছেন। গত ২রা মে খোয়াইয়ের নতুন টাউন হলে খোয়াই পুর পরিষদের উদ্যোগে খোয়াই পুর এলাকার ১৪ টি ক্লাব, সাংবাদিক, পুলিশ সহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংস্থা কে নিয়ে ড্রাগস বিরোধী একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অথচ লক্ষ্য করা গেল এই কর্মসূচিতে দুই তিন টি ক্লাবের প্রতিনিধি ছাড়া আর কোন ক্লাবের প্রতিনিধিরা এই মত বিনিময় সভায় উপস্থিত হয়নি। খোয়াই পুর পরিষদের যে উদ্যোগটা ছিল সেটা অনেকটাই ভেস্তে গেছে।এর কারন হিসাবে এই কথা বলাযেতেই পারে যে অনুপস্থিত ক্লাব গুলি কোন না কোনভাবে নেশা কারবারিদের সাথে যুক্ত।আর তাই যদি না হয় তাহলে কেন নেশা কারবারি দের এত বারবারন্তের জন্য খোয়াই পুর পরিষদের পক্ষ থেকে এই অব্যবস্থা থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করতে এবং মতামত দিতেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে কোন ক্লাবই এই এই বিষয়টাকে পাত্তা দেয় নি। তবে খোয়াই সহরের অনেক গুলি ক্লাব এলাকায় নেশা কারবারি দের স্বর্গ রাজ্য যা সবাই ভালকরে জানে । তাইতো এখানেই খোয়াইয়ের বুদ্ধিজীবী মহলের প্রশ্ন উপজাতি এলাকাগুলিতে যদি এন্টি ড্রাগস একশন কমিটি গঠন করে অবৈধ ড্রাগস সেবনকারী এবং অবৈধ ড্রাগস ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে, তাহলে কেন খোয়াইয়ের সামাজিক সংস্থা অর্থাৎ ক্লাব গুলো চুপ করে রয়েছেন। একদিকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। এই যুবসমাজের রক্ষার দায়িত্ব কি শুধুমাত্র পুলিশের, সামাজিক সংস্থার কোন দায়িত্ব নেই? আর যদি যুবসমাজকে এই অবৈধ ড্রাগসের কোরাল গ্রাস থেকে রক্ষা না করা হয়। একদিন এমন সময় আসবে সামাজিক সংস্থাগুলিকে চালাবার মতো লোকও থাকবে না। কারণ যুবকরা হল সামাজিক সংস্থার চালিকা শক্তি। তাই বুদ্ধিজীবী মহলের দাবি অতি দ্রুত খোয়াই শহরের প্রতিটি এলাকাতে এন্টি ড্রাগস কমিটি গঠন করা হোক। এই অবৈধ ড্রাগসের বিরুদ্ধে সমাজের প্রতিটি মানুষ গর্জে উঠুক। এবং অবৈধ ড্রাগসের সঙ্গে যুক্ত সকলকে অর্থাৎ সেবনকারী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের কেও সামাজিক ভাবে বয়কট করা হোক যাতে করে একটি সুন্দর সমাজ তৈরি হয়। তবে শেষে খোয়াই এর সমস্ত জনগন এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে একটা অনুরোধ রাখছি প্রতিবেক হিসাবে যে এখনো সময় আছে সবাই মিলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং সমস্ত রাজনিতীর উর্দ্ধে গিয়ে খোয়াই এর সাংস্কৃতিক জগত এবং যুব সমাজকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। নাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে এর কৈফিয়ত অভিভাবকদের দিতে হবে।তখন কি উপযুক্ত উত্তর আপনাদের কাছে থাকবেত?এই প্রশ্নটাই রইল সমস্ত খোয়াই এর অভিভাবকদের কাছে।