Sunday, May 18, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই শ্রীনাথ বিদ্যানিকেতনের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়েও মাধ্যমিক...

খোয়াই শ্রীনাথ বিদ্যানিকেতনের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়েও মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০% নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২শরা মে..…..খোয়াই শ্রীনাথ বিদ্যানিকেতনের এক প্রতিবন্ধী ছাত্রী অনন্যা চক্রবর্তী সে ৯০% প্রতিবন্ধী হয়েও ৭০% নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজির গড়লো।খোয়াই বনকর এলাকায় তার বাড়ি প্রতিবন্ধী অনন্যা চক্রবর্তী। পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা বাবা অতনু চক্রবর্তীর। অনন্যা শ্রীনাথ বিদ্যানিকেতন স্কুলের ছাত্রী। সে লিখতেও পারে না। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী অনন্যার থেকে ছোট ক্লাসের এই স্কুলেরই এক ছাত্রী সংগীতা দেব অনন্যার জন্য লিখে দিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়। অনন্যা বলে দিয়েছে এবং ছাত্রী সংগিতা দেব লিখেছে। তার এই সাফল্যের দারুন খুশি মা-বাবা থেকে শুরু করে স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অনন্যার এই সাফল্যের পেছনে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান একেবারেই নেহাত কম নয়। ৯০% প্রতিবন্ধী হয়েও এরকম ফলাফল সত্যিই নজরকারা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় আনন্যা মোট নম্বর পেয়েছে ৩৫০। অনন্যার এই সাফল্যের কারণে ব্যাপক খুসি সংগিতাও। অনন্যার সাফল্যের পাশাপাশি সংগিতার অবদানকে ভুলে গেলে চলবে না।কারন অনন্যার কথা বুঝতে সংগীতাকে এক প্রকার অনুশিলন করতে হয়েছে সংগীতার কথা বুঝার জন্য।তাই অনন্যার পাশাপাশি সংগীতাও সমভাবে কুর্নিশ জানাতে হয়। শুধু তাই না অনন্যা যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল এরই মধ্যে সংগীতার নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল।এর মধ্যে সংগীতা নিজের পরিক্ষা দিচ্ছে পাশাপাশি অনন্যা কেও সাহায্য করছিল।তাই সংগীতাকে ভূলে গেলে চলবেনা সেও সমভাবে প্রসংশা পাবার যোগ্য।আর সেও একজন ভাল ছাত্রী বলে জানান স্কুলের শিক্ষকরা। অন্যদিকে অনন্যার এই সাফল্যের কারণে খোয়াই সরকারি কর্মচারি সংঘের উদ্যোগে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তাতে খুসি অনন্যার পিতা মাতা সহ অত্মিয় প্রিজন থেকে শুরু করে সমস্ত এলাকা বাসি।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two × five =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য