বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৩০শে এপ্রিল……বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে বিদ্যুৎ দপ্তর এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক গ্রাহকের কাছে আবেদন করছেন যাতে করে বিনা কারণে বিদ্যুৎ অপচয় না করে। কিন্তু এরপরও বিদ্যুতের অপচয় হয়েই চলছে।বিদ্যুৎ এর অপচয়ের কারনে রাতেও জ্বলছে বাতি, চলছে ফ্যান তেমনটাই অভিযোগ উঠেছে খোয়াই চেবরী ইংরেজী মাধ্যম হাই স্কুলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। খোয়াইয়ের চেবরী ইংরেজী মাধ্যম হাই স্কুলের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ এর লাগামহীন অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে।স্কুলটিতে রাতের বেলায়ও বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে প্রতিটি ক্লাসরুমে।একইসাথে ফুল স্পীডে ঘুরছে থাকে বৈদ্যুতিক ফ্যানগুলোও।এই রকমেরই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মানুষজনের কাছ থেকে।অভিভাবকরা সহ চেবরী বাজারের ব্যাবসায়ীরাও একই অভিযোগ করেছেন। একদিকে যখন সারা রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, যখন বিদ্যুৎ এর যন্ত্রনায় জনজীবন অতিষ্ঠ তখন খোয়াই মহকুমার চেবরী ইংরেজী মাধ্যম হাই স্কুলের এই ধরনের বিদ্যুৎ অপচয়ের ঘটনা জনগণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।স্থানীয় মানুষজন জানান যে, স্কুলে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে স্কুলের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার জন্যই।এই ধরনের বিদ্যুৎ অপচয়ের ঘটনা প্রতিদিনেই ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ জানান স্থানীয় মানুষজন।প্রতি রাতেই চেবরী ইংরেজী মাধ্যম হাই স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসরুমের ভেতর বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলতে বা বৈদ্যুতিক ফ্যান ঘুরতে দেখা যাচ্ছে।এই বিষয়ে চেবরী ইংরেজী মাধ্যম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোনের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করা হলে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি যে ধরনের জবাব দেন তা দস্তুরমতো একটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এরকম চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়ই বহন করে।ঔ প্রধান শিক্ষকের এধরনের খামখেয়ালি পনামূলক কথায় চেবরী এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন অংশের মানুষজনের মধ্যে।সংবাদমাধ্যমের লোকজন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্কুলে বিদ্যুৎ অপচয়ের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন যে, বিদ্যুৎ অপচয় কি শুধু আমার স্কুলেই হচ্ছে নাকি! রাতের বেলায় বাতি জ্বলে বা ফ্যান চলে বলে অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক জানান যে, হয়তো লোডশেডিং ছিল।তখন হয়তো স্যুইচ অন করা ছিল।তাই পরে হয়তো বা স্যুইচ আর অফ করা হয়নি।প্রধান শিক্ষক বলেন, তাহলে এখন থেকে আমাকে স্কুল ছুটির পর সব ক্লাসরুমের স্যুইচ অফ করে যেতে হবে আর কী! অর্থাৎ এক কথায় এটা পরিষ্কার যে, স্কুলে বিদ্যুৎ অপচয়ের ঘটনা সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক কোন গুরুত্বই দিতে রাজী নন।প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বহীন কথায় মনে হলো যে, এটা কোন ব্যাপারই না।এরকমটা তো হতেই পারে।অন্য স্কুলে যদি বিদ্যুৎ এর অপচয় হয় তাহলে আমার স্কুলে অপচয় হলে ক্ষতি কী! অথচ সেই শিক্ষক নিজের দোষকে আড়াল করতে অন্যদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। উনার স্কুলের ভিতর বিদ্যুতের বাতি জ্বলছে সেই বিষয়ে তিনি কোন প্রতিক্রিয়া না দিয়ে বরং সংবাদমাধ্যমের এক কর্মীর সাথে ফোনে যে ধরনের কথোপকথন করলেন তাতে স্পষ্ট বোঝা গেছে স্কুলের বিদ্যুৎ এর বাতি জ্বলে থাকলেই বা কি আর বন্ধ থাকলেই বা কি তাতে ওনার কিছুই যায় আসে না। অথচ তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করতে সরকারের আবেদনকেও বৃদ্ধাঙ্গষ্ট দেখিয়ে দিলেন। কারণ উনি সরকারি শিক্ষকের চাকরি করেন বলে বিদ্যুৎ দপ্তরের দায়িত্বে কি ওনার উপর? সেটাই তিনি বোঝাতে চাইলেন। এই হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে যে ধরনের উক্তি করলেন তাতে উনার শিক্ষকতার উপর এই প্রশ্নচিহ্ন উঠছে বলে দাবি করছেন অনেকেই।