বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৪শে মার্চ……..এক নাবালিকা মেয়ের অপহরণকারীকে বাঁচাতে খোয়াই মহিলা থানার ওসি মীনা দববর্মা অপহরন কারির এক সহযোগি সহ এক বুথ সভাপতিকে নিয়ে গোপন বৈঠক করেন ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই বনকর দশমিক ঘাট এলাকার বাসিন্দা লক্ষণ দাস এর ছেলে লব দাস রবিবার সকালবেলা খোয়াই থানাধিন পেত্নীছড়া এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক নাবালিকা মেয়কে অপহরণ করে পালিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। পরবর্তীতে ঘটনাটি খোয়াই মহিলা থানার নজরে নিয়ে আসার জন্য পরিবারের সদস্যরা মহিলা থানায় আসলে তখন সেখানে দেখেন পান যে এস পি নাকি থানা পরিদর্শন করবে তাই বলে থানার সবাই ব্যস্ত। প্রায় দুই ঘন্টা সেই হতভাগা নাবালিকার পরিবারের লোকেরা মহিলা থানায় অপেক্ষা করে মহিলা থানার ওসির সঙ্গে দেখা করে গোটা বিষয়টি ওনাদের নজরে নিয়ে আসেন দুপুর প্রায় ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ। কিন্তু এই বিষয়টি নজরে আনার পর বলতে গেলে পরিবারের তরফ থেকেই বিভিন্ন সূত্র লাগিয়ে এই বিষয়টির আশি শতাংশ কাজ মেয়টির পরিবারের লোকজন সম্পন্ন করে দেয়। যে গাড়িটি দিয়ে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ সেই TR 06 B 0201 নম্বরের গাড়ির মালিকের নাম সহ গোটা বিষয়টি প্রস্ফুটিত করা হয় থানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু এত কিছুর সামনে নিয়ে আসার পরও নাবালিকা অপহরণের কাণ্ড নিয়ে মহিলা থানার সেই রকম ভূমিকা রবিবার সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করা যায়নি। শেষে বিষয়টিকে নিয়ে বাধ্য হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর নজরে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যার পর থেকে টনক নড়ে রাষ্ট্রপতি কালার্স পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশের এক অংশ খোয়াই মহিলা থানার অফিসার দের। শুরু হয় তাদের তদন্ত। দেখা যায় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাওয়ার পর এক এক করে নাবালিকাকে অপহরণ করা গাড়িটির চালককে থানায় নিয়ে আসতে। এরপর শুরু হয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ। একে একে ডেকে আনা হয় অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের। পরবর্তীতে দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁচাতে এলাকার এক ডাক সাইটে নেতা তথা খোয়াই বনকর এলাকার ৫ নং বুথের বুথ সভাপতি শিবু রায়কে থানায় আসতে। জামাই আদর করে সেই ডাকসাইটে নেতাকে থানার ওসি মিনা দেববর্মার কক্ষে বসিয়ে শুরু হয় তদন্ত। একবারের জন্যও মহিলা থানার ওসি তদন্তের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য ডাকসাইটে নেতাকে উনার কক্ষ ত্যাগ করতে বলেননি। এখানে হতাশ করার মতন বিষয় এটাই যে, একটা সময় রাত ৯ টার পর দ্বিতীয় বার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তিকে থানায় ডেকে আনার পর যখন ওসি মিনা দেববর্মা সেখানে উপস্থিত সমস্ত সাংবাদিকদের তদন্তের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য একটু বাইরে যেতে বলেন। কিন্তু সদর্পে চেয়ার দখল করে বসে থাকেন সেই তথাকথিত নেতা শিবু রায়। কিন্তু সেখানে সাংবাদিকরা থাকলে তদন্তের গোপনীয়তা বজায় থাকবেনা,অথচ সেই ডাকসাইটে নেতা শিবু রায় থাকলে গোপনিয়তা থাকবে। এখানে প্রশাসনের কাজে কিভাবে বহিরাগতদের অনুমতি দেন মহিলা থানার ওসি। এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে সাংবাদিকরা আপত্তি তুললে মহিলা থানার এক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে প্রশ্ন করা হয় সাংবাদিকদের সামনে তদন্তের বিষয় নিয়ে বললে তদন্তের গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসবে তাহলে ওই নেতাকে কেন জামাই আদরে ভেতরে বসিয়ে রাখা হয়েছে কোন এক অভিসন্ধি চরিতার্থ করার জন্য! তখন কোন ধরনের জবাব দিতে না পেরে সেই নেতা শিবু রায় কেও কক্ষ ত্যাগ করাতে বাধ্য করানো হয়। অবাক লাগলো রাষ্ট্রপতি কালার্স পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রশাসনের এই ধরনের চেহারা উঠে আসছে খোদ শহরের বুকে গড়ে ওঠা মা-বোনেদের একমাত্র বিশ্বাসের স্থান মহিলা থানা থেকে! এগুলি ভাববার বিষয়। জানিনা মহিলা থানার ওসি মিনা দেববর্মা মহোদয়া এই বিষয়গুলো নিয়ে কতটা ভাবেন? কেননা সাংবাদিকদের থানার অভ্যন্তরে উপস্থিতি নিয়ে মনে মনে কিছুটা হলেও বিরক্ত ছিলেন ওসি মহোদয়া কোন উপঢৌকন না পাবার কারনে এটাই সত্য। কিভাবে সকাল পেরিয়ে দুপুর, দুপুর পেরিয়ে বিকেল, বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত চলে গেল কিন্তু সেই হতভাগা নাবালিকা মেয়ের মা এবং বাবার কষ্টটা কেউ দেখল না মহিলা থানার অফিসাররা। ভাবতেও অবাক লাগে। ওটাতো মহিলা থানা। সত্যিই অভাবনীয় ঘটনা রবিবার সারাদিন প্রত্যক্ষ করল সাংবাদিকরা খোয়াই মহিলা থানাতে। যাইহোক এক রাত পেরিয়ে গেল হয়তোবা নিজের মেয়েকে কাছে ফিরে পাবেন অসহায় মা-বাবা এরকমটা আশা রাখাই যায় রাষ্ট্রপতি কালার্স পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশের এক অংশ খোয়াই মহিলা থানার কাছে। এখন দেখার বিষয় মেয়েটিকে উদ্ধার করতে খোয়াই মহিলা থানার পুলিশ কতটুকু সদর্থক ভূমিকা পালন করে।