তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ– আমরা যতই আধুনিক হই না কেন চিরাচরিত সংস্কৃতিকে নানান কায়দায় বহন করে চলেছি। এটা বাস্তব এই সময়ের মধ্যে আধুনিকতার ছাপ আমাদের সমাজের সব দিকেই রয়েছে, কিন্তু তারপরেও চিরাচরিতভাবে ঐতিহ্য কে আমরা সম্মান করি এবং অবশ্যই গুরুত্বসহকারে এগিয়ে নিয়ে চলি।
রবিবার পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তির প্রাক্কালে তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষ্ণপুর আমতলী এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল দুই যুবক মিলে বুড়ি ঘর তৈরিতে ব্যাস্ত। যুগ যুগ ধরে মকর সংক্রান্তির আবহে বুড়ি ঘর তৈরি করে বনভোজন করা সহ নানান ভাবে আনন্দ করার রেওয়াজ রয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, কালের বিবর্তনে এই প্রথা অনেকটাই বিলুপ্ত হওয়ার পথে। তবে সবটা যে এখনো বিলুপ্ত হয়নি তার দৃষ্টান্ত কিন্তু আরও একবার উঠে এলো আমাদের অনুসন্ধানে।
এই প্রতিবেদনের সাথে দেওয়া ছবিতে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে দুই নাবালক নিরলস ভাবে বুড়ি ঘর তৈরি করছে। কথা বলার সময় তাদের দাবি, এই ঘর তৈরি করে মকর সংক্রান্তির আবহে সবাই মিলে আনন্দ করবে খাওয়া-দাওয়া করবে এবং পরের দিন ভোরবেলা স্নান করে আগুনের উত্তাপে নিজেদের উষ্ণ করবে। এই প্রতিবেদন গুলোর মধ্যে হয়তো জৌলুশ নেই, এই প্রতিবেদন গুলো বিভিন্ন মোড়কে আকৃতি প্রাপ্ত নয়। তবে চিরাচরিত ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক হিসেবে এই প্রতিবেদন সহ ছবি গুলো নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ এবং কৃষ্ণপুরের আমতলী এলাকার এই প্রতিবেদন হলফ করে দাবী করে আমরা আমাদের চিরাচরিত সংস্কৃতিকে সম্মান করি এবং বহন করার ক্ষমতা রাখি।