খোয়াই প্রতিনিধি ১৬ ই সেপ্টেম্বর…… কথায় বলে বাঁদরের হাতে লাঠি দিলে বিপদ হয়ে দাঁড়ায়। সেই বাঁদর হাতে লাঠি পেয়ে নিজেকে রাজা ভাবতে থাকে আর তখনই সৃষ্টি হয় অরাজগতা ও বিশৃঙ্খলা । তেমনটি চলছে খোয়াই লালছরা বালিকা বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষিকার কারণে । একজন টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীল অন্যজন ডেপুটেশনে আসা বিজ্ঞান শিক্ষিকা গোপা দেবরায় তাদের যুগলবন্দীর কারণে । জানা যায় বিদ্যালয়টিতে আগে প্রধান শিক্ষক ছিলেন নরেশ দেববর্মা। তিনি গত ৩১ শে জুলাই চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করার পর ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ টি শূন্য হয়ে রয়েছে । অবসরপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক নরেশ দেববর্মা একদিকে ছিলেন ডিডিও এবং ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের খোয়াই কেন্দ্রের সম্পাদক । কিন্তু স্কুলটিতে বর্ষিয়ান শিক্ষকরা থাকা সত্ত্বেও কেউ টিচার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করতে চায়না । শেষে বাধ্য হয়ে এই স্কুলের টিচার ইনচার্জ এর দায়িত্ব হাতে তুলে নিলেন ইংরেজির বিষয় শিক্ষিকা শ্রীমতি সুস্মিতা শীল নিজেই ।এবং স্কুলের ডি ডি ওর দায়িত্ববাদ দেওয়া হয়েছে ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন দেববর্মা কে যিনি স্কুলের ফাইনান্সিয়াল বিষয়টি দেখাশোনা করবেন অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক । অন্যদিকে স্কুলের একাডেমিক বিষয়গুলি দেখাশোনা করবেন লালছড়া স্কুলের টিচার ইনচার্জ শ্রীমতি সুস্মিতা শীল আর এখানেই শুরু হল বাঁদরের খেল। কথায় আছে নিয়মের বাইরে গিয়ে কোন কাজ করতে গেলেই সৃষ্টি হয় বিভিন্ন গেরাকলের ।এই গেরা কলের যাতাতে পড়ে খোয়াই লাল ছরা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অবস্থা খুবই করুন। এক কথায় এই স্কুলের পঠন-পাটন লাঠি ওঠার উপক্রম হয়েছে শুধুমাত্র টিচার ইনচার্জ শ্রীমতি সুস্মিতা শীল ও ডেপুটেশনে আসা বিজ্ঞান শিক্ষিকা গোপা দেব রায়ের কারণে । এই স্কুলটিতে মোট ছাত্রির সংখ্যা প্রায় 200 জন তার মধ্যে একাদশ শ্রেণীতে রয়েছে ৩২ জন ছাত্রী এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে রয়েছে ৫২ জন ছাত্রী এই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীরা শিক্ষক স্বল্পতার কারণে এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে ওই দুই ক্লাসের ছাত্রীরা ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না বলে এক সূত্রে জানা যায়। এছাড়া কোন ধরনের নিয়ম নীতি ছাড়াই স্কুলের টিচার ইনচার্জ নিয়োগ করা হয়েছে । যেখানে টিচার ইনচার্জ নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম হল যিনি স্কুলের মোস্ট সিনিয়ার অথবা যিনি শিক্ষকতার দিক দিয়ে সিনিয়ার তাকেই সেই পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা যা কোনভাবেই মানা হয়নি । অথচ দেখা গেছে যে এমন এক শিক্ষাকে নিয়োগ করা হয়েছে যিনি চাকুরী করেন মাত্র ছয় বছর হয়েছে এছাড়া টিচার ইনচার্জের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম অভিজ্ঞতাটা ও নেই ।এই স্কুলের টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীল দায়িত্ব পেয়ে বাঁদরের মতন লাঠি ঘুরাচ্ছেন সবার উপরে। তিনি কোন ধরনের যুক্তি-তর্ক মানেন না নিজের মর্জি মাফিক ভাবে স্কুলে কাজ করে যাচ্ছেন যার ফলে সমস্ত শিক্ষক সহ সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন । অথচ দেখা গেছে যাকে এই স্কুলের টিচার ইনচার্জ করা হয়েছে অর্থাৎ সুস্মিতা শীল কে এর জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশন এর কোন অনুমোদনই নেই । অন্যদিকে স্কুলের এই টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীল ইংরেজি বিষয় শিক্ষিকা হওয়ার কারণে নিজ বাড়িতে চুটিয়ে বিদ্যাবসা করছেন সরকারের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গষ্ট দেখিয়ে খোলাখুলি ভাবে চ্যালেঞ্জ দিয়ে । বিদ্যা ব্যবসার কারণে শিক্ষিকা সুস্মিতা শীল আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ । ছয় বছরের মধ্যে বাড়িতে বিল্ডিং দামি গাড়ি ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন ! অথচ ওনার সার্ভিস রেকর্ড অনুযায়ী এত টাকার মালিক হওয়া সম্ভব নয় যা করেছেন বিদ্যা ব্যবসা দিয়ে । শুধু তাই না ওনার আরেকটি গুণ রয়েছে ইংরেজি বিষয় শিক্ষিকা হওয়ার কারণে স্কুলের ছাত্রীদেরকে উনার কাছে ইংরেজি পড়তে বা টিউশনি নিতে বাধ্য করছেন বলেও গোপন সূত্রের খবর রয়েছে ।না হলে ছাত্রীদের সোজা-সুজি হুমকি দেন পরীক্ষায় ইংরেজি নাম্বার কমিয়ে দেওয়া হবে । এই বিষয়টা শুধু এই লাল ছড়া স্কুলে নয় খোয়াইয়ের বিভিন্ন বনেদি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেও এই ধরনের ঘটনার খবর রয়েছে সংবাদ মহলে । অন্যদিকে টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীলের উদ্ভট আচরণের কারণে লাল ছড়া স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে চলছে চরম অসন্তোষ । এক শিক্ষকের সাথে অন্য শিক্ষকের কথাবার্তা বন্ধ আর তাতে করে স্কুলের পটন পটন লাটে উঠছে । স্কুলের মধ্যে এইসব কান্ড কীর্তি দেখে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা যায়। স্কুলের এইসব ঘটনার কারণে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা একেবারে শিখিয়ে উঠেছে । শুধু তাই না স্কুলটিতে নেই সংস্কৃত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয় শিক্ষক। আর তাতে করে স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পাঠরত ছাত্রীরা হতাশ গ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষয়গুলিকে নিয়ে ছাত্রীদের অভিভাবকরা ও অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকে ।এই দিকে স্কুলের টিচার ইনচার্জের কারণে স্কুলটিতে চলছে এক অরাজগতা তার উপর দেখা দিয়েছে পাছায় বিষ ফোঁড়া। এই স্কুলে ডেপুটেশনে আসা বিজ্ঞান শিক্ষিকা গোপা দেবরায় তিনি কোন ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কোন ধরনের আলাপ-আলোচনা ছাড়াই নিজ মর্জি মাফিক টিচার কাউন্সিল গঠন করে ফেলেন তাও পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন সময়ে। নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের প্রটোকল কে বৃদ্ধাঙ্গষ্ট দেখিয়ে এই টিচার কাউন্সিল গঠন করা হয় নির্বাচন আচরণবিধিকে উলঙ্ঘন করে। এছাড়া গোপা দেবরায় নিজেই নিজেকে টিচার কাউন্সিল সেক্রেটারি ঘোষণা করে দিয়েছেন তাও পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন যা নির্বাচনী নিয়ম-বহির্ভূত। কেন এই কাজ করলেন জানতে চাইলে বিজ্ঞান শিক্ষিকা গোপা দেবরায় বে কায়দায় পরে মন্ডলের দোহাই দিয়ে পরিত্রাণ পাবার চেষ্টা করছেন । লালছরা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীল এবং ডেপোটেড বিজ্ঞান শিক্ষিকা গোপা দেবরায় এই দুই শিক্ষিকার যুগলবন্দীতে বর্তমানে লাল ছাড়া স্কুলের পরিবেশ একেবারে বিষিয়ে উঠেছে । একটি সূত্রে এও জানা যায় গত তিন মাস আগে বিজ্ঞান শিক্ষিকা গোপা দেবরায় কে জেলা শিক্ষা আধিকারিক উনার প্রতি প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে স্কুল হতে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিলেন স্কুলের মধ্যে এই ধরনের কুট কাচিলী করার জন্য । শেষে মন্ডল কর্তৃপক্ষের হাতে পায়ে ধরে অনুনয়-বিনয় করে শেষে মুচেলেকা দিয়ে এই স্কুলেই থেকে যান বলে জানা যায় । তাদের সাথে তাল মিলিয়ে এই স্কুলে ডেপুটেশনে আসা আগরতলা থেকে প্রসেনজিৎ দাস নামে আরেক শিক্ষক নিয়মিত অফিস ডিউটির নাম করেন বাড়িতে বসে ছুটি কাটান ও ডির নাম করে । শিক্ষক কিসের ওডি নেন তা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের বোধগম্য হচ্ছে না বলে জানা যায় । অন্যদিকে স্কুলের সমস্ত বিষয়গুলিকে নিয়ে স্কুল পরিচালন কমিটিকে একেবারে অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলেও জানা যায় । খোয়াই লালছড়া দ্বাদশ শ্রেণি বালিকা বিদ্যালয়ের এই ধরনের অরাজগতা দেখতে পেয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও লাল ছড়াবাসীরা দাবি তুলছেন অতিসত্বর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য যাতে করে বিদ্যালয়টিতে পঠন পাঠনের পরিবেশ তৈরি হয় । তা না হলে স্কুলের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে দিকে চলে যাবে । অন্যদিকে প্রতিদিন দায়সারা ভাবে চলছে স্কুলটি। দেখা গেছে সকাল ১১ টার আগে কোন শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে আসে না ।যদিও আসে তাহলে দুই থেকে তিনটি ক্লাস কোনভাবে করছে তারপর দুপুর দুইটার মধ্যে স্কুল ছুটি ঘোষণা দিয়ে দেয়। অন্যদিকে টিচার কাউন্সিল যিনি ছিলেন তিনি নিজেই জানেন না যে টিচার কাউন্সিল এর সম্পাদক পদে আছেন কি নেই ।এই স্কুলে যে টিচার কাউন্সিল গঠন হয়েছে তাতে ডিডিও বা ডি ও কারোর অনুমতি নেই এর পরও কাউন্সিল গঠন হয়েছে। অন্যদিকে এও জানা যায় লাল ছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীল বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করার ক্ষেত্রে ব্যাপক তালবাহানা করেন এমনকি কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকের সাথে বাজে ব্যবহার করে থাকেন । মাত্র ৬ বছরের চাকুরী তারপর টিচার ইনচার্জ হয় উনার উদ্ধত্য এতই বেড়েছে যে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অর্থাৎ একজন গেজেটেড অফিসার কে টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীল উনাকে অর্ডার করেন যদি কোন কাগজপত্র সই না করে তাহলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যাতে ওনাকে শোকজ লেটার প্রদান করেন। একাতো বয়সে কম অন্যদিকে টিচার ইনচার্জ হয়ে একজন গ্রেজেটেড অফিসার কে হুকুম দেন স্কুলের শিক্ষিকা সুস্মিতা শীল সাধারণ এক টিচার ইনচার্জ হয়ে তিনি নিজেকে প্রধান শিক্ষক ভাবছেন। ঐ কথায় বলো না বাঁদরের হাতে লাঠি গেলে যা হয় । টিচার ইনচার্জ সুস্মিতা শীলের এই ধরনের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে সমস্ত শিক্ষক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে ।শুধু তাই না শিক্ষক কর্মচারীদের সংগঠনের নেতৃত্বদের কথাও শুনছে না সুস্মিতা শীল । সাধারণ এক টিচার ইনচার্জ হয়ে লালছড়া স্কুলটিতে নিজের মর্জি মাফিক যা খুশি তাই চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায় । এছাড়া স্কুলের ছাত্রী এবং স্কুলে অন্যান্য শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সাথে দুর ব্যবহারের তো সীমা নেই যা খুশি তাই বলে থাকেন তাদেরকে ।আর তাতে করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ কারোর মুখ দর্শন করতে চায় না এমন কি কথাও বলে না । শিক্ষকরা একটি কমন রুমে কাটান এবং শিক্ষিকারা অন্য আরেকটি কমনরুম বসে থাকেন যা আগে এমন ছিল না । আর এসব কারণে খোয়াই লালছড়া দ্বাদশ শ্রেণীর বালিকা বিদ্যালয়টিতে একেবারে দম বন্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছ শুধুমাত্র টিচার ইনচার্জের কারণে । বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে এখানে সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে!!