বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১০ই জুন……উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ১১ কেভি বিদ্যুতের লাইন সরাই করতে গিয়ে সোমবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হল খোয়াই চেরমা এলাকার বাসিন্দা মনমোহন দাসের ছেলে অর্থাৎ খোয়াই তুলা শিখর সাব ডিভিশন এর গ্রুপডির এক বিদ্যুৎ কর্মীর।ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই তুলাশিখর সাব ডিভিশনের দুই বিদ্যুৎ কর্মী বেহালাবাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ গোলযোগ চলছিল তা সারাতে জান বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মী মিঠুন দাস ও অরুন দেববর্মা ।ওরা একে একে বেহালা বাড়ি এলাকায় একের পর এক লাইন সাড়াই করে চলে আসে বেহালা বাড়ির কলাবাগানে এলাকায়।মৃত ব্যক্তির সহপাঠীর বক্তব্য ওই এলাকায় কাজ করতে গেলে প্রথমে কলাবাগান এলাকার একটি সব স্টেশনের জিও লাইন কাটতে হবে ।তাই বিদ্যুৎ লাইন কেটে সেখানে তালা মেরে বেহালা বাড়ি এলাকার জাতীয় সড়ক ধরে কিছুদূর গিয়ে রাস্তার ডান দিকের একটি খুঁটিতে গিয়ে সেই খুটির জাম্পারিং বিচ্ছিন্ন করে সেই বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করবে এবং অন্যান্য সমস্যা গুলি দেখবে।আর তা করতে গিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ খুঁটিতে মই লাগিয়ে মই বেয়ে উপরে উঠে দাঁড়িয়ে মিঠুন দাস ৪০ জাম্পারিংটি কাটতে গেলে সাথে সাথে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মই থেকে নিচে পড়ে যায় এবং একটি পাথরের সাথে তার মাথার আঘাত লাগার সাথে সাথে মিঠুন দাসের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ।মৃত ব্যক্তির বাড়ি খোয়াই চেয়ারমা এলাকায়। অথচ মিঠুন দাস একজন গ্রুপ ডি হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে বিদ্যুৎ দপ্তর মিঠুন দাসকে দিয়ে লাইনম্যানের কাজ করানোর অনুমতি দিল দপ্তর ।অথচ লাইনম্যানের কাজ করতে গেলে সেই ধরনের প্রশিক্ষণ মিঠুনের ছিল না বলে দাবি এলাকাবাসীর ।সাধারণত গ্রুপ ডির কর্মীরা এই ধরনের কাজ করতে অপারগ। কারণ লাইনম্যান এর কাজ করতে গেলে তাদেরকে সেই ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।অথচ দেখা গেছে বেশ কয়েক বছর ধরে খোয়াই মহাকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মী স্বল্পতার কারণে গ্রুপ ডির কর্মীদেরকে দিয়ে এই ধরনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে কাজ করানোর জন্য বাধ্য করা হচ্ছে দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী ।অন্যদিকে এই ধরনের গ্রুপ ডির কর্মীরা চাকুরী খায়ানোর ভয়ে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েকাজ করতে গিয়ে এই ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে নিজেদের প্রাণ বলিদান দিচ্ছেন।এই ধরনের গ্রুপ ডির কর্মীদেরকে দিয়ে লাইন ম্যানের কাজ করানোর ফলে গত বেশ কয়েক বছরেএমন অনেকগুলি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে অনেক গ্রুপ ডির কর্মীরা মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে এরপরও বিদ্যুৎ দপ্তরের উচ্চ আধিকারিকদের টনক নড়েনি মিঠুন দাসের মতন গ্রুপ ডি কর্মীদের দিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তর কাজকর্ম করিয়ে যাচ্ছে আর একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।অন্যদিকে ১১ কেবি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুত পরিবাহী তারটির জাম্পারিংটি প্লাস দিয়ে ধরে বিচ্ছিন্ন করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনায় পতিত হয় তাতে মিঠুনের হাতে থাকা প্লাসটি পুড়ে যায় এবং মিঠুন যেখানে মাটিতে পড়ে সেখানেও রক্তের ছাপ দেখা গেছে ।পাশাপাশি শরীর বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায় ।তখন সাথে সাথে মিঠুনের পাশে থাকা তার সহকর্মী অরুন দেববর্মা সেই মইয়ে নিচে দাঁড়িয়েছিল ওনার চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ জরো হয় এবং মিঠুন কে বেহালা বাড়ী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলেন সেখানে কর্তব্য রাতে চিকিৎসক মিঠুনকে মৃত বলে ঘোষণা করে।তবে এই ধরনের ঘটনা বিদ্যুৎ দপ্তরে প্রায় সময় হয়ে থাকে।এদিকে খবর পেয়ে ডিজিএম সবেন্দ্র দেববর্মা ও তুলসীখর বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার মনিন্দ্র দেববর্মা ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়।এবং ওরা কলাবাগান থেকেও সেই সাবস্টেশনটিতে যায় যেখানে বিদ্যুৎ লাইনটি কেটে তালা মেরেছিল সেই বিদ্যুৎ কর্মীরা কে বা কারা সেই তালাকে ভেঙ্গে দিয়ে লাইনটিকে চালু করা দেওয়াতে দুর্ঘটনা ঘটে এবং মিঠুনের মৃত্যু হয়।তবে এই বিষয়টি মৃতের পরিবারও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পক্ষ থেকে মেনে নিতে পারছে না।অন্যদিকে বেহেলা বাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা চরিত্রটাও ফুটে উঠলো। এলাকাবাসীর দাবি যখন মিঠুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন হাসপাতাল থেকে মৃত দেহকে ঢাকার জন্য একটি চাদরও দেওয়া হয়নি উল্টো হাসপাতালে কর্তৃপক্ষরা মিঠুনের পরিবারের লোকদেরকে বলে বাজার থেকে পলিথিন কিনে আনতে ।শেষে চিৎকার চেঁচামেচি করার পরহাসপাতাল থেকে একটি চাদর বের করে দেওয়া হয় তখন এলাকাবাসি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।এরপর মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে এম্বুলেন্স দেবে পরে বলে ন্বুলেন্স নেই চালক ও নেই অথচ হাসপাতালের পেছনে একটি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো ছিল । বেহালা বাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বাস্থ্যকর্মীদের এহেন কথা শুনে হাসপাতালে জরো হওয়া মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।শেষে পুলিশ বাধ্য হয়ে পুলিশের গাড়ি করেছে মৃত দেহ খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে ময়নাতদন্তের জন্য এবং ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।অন্যদিকে এও জানা যায় মৃত মিঠুন দাস ২০১০ সালে বিদ্যুৎ দপ্তরে চাকুরী পায় এবং মৃত্যু কালে তার আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে বলেও জানা যায়।এই ঘটনায় পুরো চারমা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।