ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত কয়েক মাস আগে কলসিমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬নং ওয়ার্ড এর ব্লক টিলা এলাকায় একটি রিজার্ভাব নির্মাণ করা হয়।এই রিজার্ভাব নির্মাণের পর রাস্তার ইট তুলে ড্রেন করা হয়।এই ব্রিক সলিং রাস্তার ড্রেন করার জন্য ইট তোলে সরানো হয়।এই ইট গুলি এলাকার গোপাল দাস নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি প্রত্যেকদিন কিছু কিছু পরিমাণ ইট চুরি করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সুরকি ও নতুন পাকা বাড়ির তৈরি করার জন্য ব্যবহার করছেন।এই ঘটনাটি এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে তাকে কয়েকবার সতর্ক করে দেওয়া হয়।তারপরেও গোপাল সুদরায়নি এই ইট চুরির ঘটনা থেকে।অবশেষে বাধ্য হয়ে সোমবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় এলাকাবাসী মিলিতভাবে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ইট চুর গোপাল।পরবর্তী সময়ে এই ঘটনা ধীরে ধীরে বিরাট আকার ধারণ করে।কথা কাটাকাটি। পরে সামনাসামনি গোপাল দাস স্বীকার করে নেন তিনি এই রাস্তার ইট বাড়িতে নিয়ে যান।তিনি এই কথাও স্বীকার করেন যে এই ইট চুরির সাথে তিনি শুধু জড়িত নয়, এলাকার আরো অনেকেই জড়িত রয়েছে।তখন তার ছেলে সুমন দাস ও গোপাল দাস এই চুরির ঘটনায় এলাকার হারাধন সরকার প্রতিবাদ করতেই তাকে প্রচন্ড মারধর করে। এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে কোনরকমে প্রানে বেঁচে যান হারাধন সরকার।পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদী হারাধন সরকার মার খেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়।পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বাপ বেটা। এলাকাবাসীর দাবি তাদের বাপ-বেটাকে অতিসত্বর আটক করতে হবে। না হয় এই দুই বাপ বেটার কারণে রাস্তার এইটার থাকবে না।এই রাস্তার ইট সরিয়ে নেওয়ার ফলে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে আছে রাস্তাটি।যদি ব্লকের ভিডিও এই বিষয়ে সুনজর দেন তাহলে এই রাস্তাটি অতিসত্বর তৈরি হবে। জানা যায় এই রাস্তার ইট চুরির সাথে আরও কিছু রাঘব বোয়াল জড়িত রয়েছে,যদি বক্সনগর ব্লক আধিকারিক এই বিষয়ে তদন্ত করেন তাহলে বেরিয়ে আসবে আরও কিছু মুখোশদাড়ী ব্যক্তির নাম।