সাম্প্রতিক সময়ে গোটা রাজ্যজুড়ে তৈরি হওয়া খরাজনিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গার কৃষকরা বিশেষ করে সবজি চাষীরা প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, যার ফলে বর্তমানেও বাজার গুলোর মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি একদিকে যেমন প্রয়োজনের তুলনায় কম, ঠিক এর পাশাপাশি অগ্নি মূল্যে বেচা বিক্রি চলছে।
খোয়াই জেলার কল্যাণপুর ব্লকের অন্তর্গত বিস্তীর্ণ জনপদ কৃষি নির্ভর। ঘিলাতলী, পূর্ব কল্যাণপুর, কমলনগর, বাগান বাজার, দক্ষিণ দুর্গাপুর ইত্যাদি বিস্তীর্ণ এলাকা একটা বিরাট অংশের মানুষ কৃষি এবং কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। স্বাভাবিকভাবেই সাম্প্রতিক খরা সংশ্লিষ্ট এলাকা সমূহের সবজি চাষীদের জন্য ব্যাপক সমস্যা যে তৈরি করেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরকমই ঘিলাতলির এক কৃষক পরিবারে যুবক বিজয় দেবনাথ দৃষ্টির প্রতিনিধির সাথে কথা বলার সময় দাবি করেছেন অন্যান্য বছরের মত এবছরও তারা বহু আশা করে এবং ধার দেনা করেই সবজি চাষ করেছিলেন। তবে বিজয় আমাদের জানিয়েছেন একদিকে প্রচন্ড খরা আরেকদিকে অনিয়মিত জলসেচ, এই দুই এর সন্ধিক্ষণে এবার শুধু তারা না, তাদের মতো বহু প্রান্তিক এবং বর্গা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে বিজয় জানিয়েছেন অন্যান্য বারের মতো এবারও সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকেরা নিজেদের উদ্যোগেই কাঁকরোল, পটল, কাঁচামরিচ, ঝিঙ্গে ,বেগুন ইত্যাদি চাষ করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই দুর্মূল্যের বাজারে সবজি চাষ করতে গেলে যে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়, তা সহজেই অনুমেয়। পাশাপাশি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিস্তীর্ণ কৃষি এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে মরিচ ক্ষেতগুলো প্রায় পুড়ে গেছে, কাকরোল পটল ক্ষেতগুলো যেন কোনভাবে টিকে রয়েছে।
অর্থাৎ সার্বিক পরিস্থিতির নিরিখে এটুকু সহজেই অনুমান করা যায় এ বছরের এই খরাজনিত পরিস্থিতি ঘিলাতলী সহ বিভিন্ন জায়গার কৃষকদের প্রচন্ড ক্ষতির মুখে দাঁড় করিয়েছে। আগামী দিনে এই সকল বিষয়ে কি চাইছেন? এই সহজ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে গিয়ে কৃষক পরিবারের কৃষক সন্তান বিজয় দাবি করেছেন আগামী দিনে যদি সরকার জলসেচ এর পরিধি আরো কিভাবে প্রসার করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে কৃষি এবং কৃষক বেঁচে যেতে পারে। সত্যিই, বিজয়ের সুরে সুর মিলিয়ে দাবি আমরা করতেই পারি সরকার সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনা করে জল সেচ নিয়ে সত্যি সত্যি আরো পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাক।