খোয়াই প্রতিনিধি ৩১শে আগস্ট…..বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে খোইয়া মহকুমার বিভিন্ন স্কুল গুলিতে নোংরা কাজের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন একে বারে তলানিতে ঠেকেছে এর পাশাপাশি চলছে স্কুলের শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের লুটপাট বাণিজ্য।তেমনি ভাবে বিদ্যালয় ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন চেরমা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক পিন্টু দেব এমনটাই অভিযোগ করছে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলে জানা যায় যে শিক্ষক পিন্টু দেব ছয় দিনের ছুটি নিয়ে দীর্ঘ এক মাসের অধিক কাল ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। আর তার কারণে নবম এবং দশম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাটন বিঘ্নিত হচ্ছে। পিন্টু দেব খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করে দেওয়ার নাম করে ভীত সন্ত্রস্ত করে রেখেছে বিগত কয়েক বছর ধরে।এতে করে শিক্ষক পিন্টু দেব একটি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়া সেই দলকে কালিমা লিপ্ত করছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। তাতে করে তার আধিপত্য স্কুলের সব থেকে বেশি যার ফলে স্কুলে ঠিকভাবে পটন পাটন হচ্ছে না।শিক্ষক পিন্টু দেব বাম জমানায় সমীর দেব সরকারের পদলেহন করে চাকরি ভাগিয়ে নিয়েছে। তৎসময়ে বাম মার্গী হ গ ব নেতা হিসাবে খোয়াই শহরে কুখ্যাত ও বিখ্যাত ছিল সে। শিক্ষক পিন্টু দেবের বিরুদ্ধে এলাকায় রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সম্প্রতি 2021- 22 শিক্ষাবর্ষে এস এম সি কমিটির অনুমোদনক্রমে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামগ্রি ক্রয় করার ক্ষেত্রে ইমপ্লিমেন্টিং অফিসার হিসাবের নিয়োগ করা হয়েছিল তাকে। এবং সাড়ে চার লক্ষ টাকার বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।আর তাতে করে তার চোখ চরকগাছ হয়ে যায়এত টাকার গন্ধ পেয়ে। দেখা যায় উনি বিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন । বিদ্যালয়ের জন্য ক্রয় করা একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার যার বাজার মূল্য ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা,সেখানে তিনি ৫৯ হাজার টাকার ভাউচার ধরিয়ে দেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের জন্য আলমিরা এবং ক্রীড়া সামগ্রি ক্রয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক নয় ছয়ের বিরাট ব্যবধান রয়েছে।শুধু তাই না প্রত্যেকটি জিনিস কেনার ক্ষেত্রে এই ধরনের৯৬ করেছে শিক্ষক পিন্টু দেব যার প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। দেখা যায় বিভিন্ন ভাউচারে একই ব্যক্তির হাতের লেখার ভাউচার তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগ উক্ত শিক্ষক নিজের দুর্নীতিকে আড়াল করতে স্কুলের ক্যাশবুকটি ও চুরি করে নিয়ে যায় বলে জানা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার চক্ষুর অন্তরালে। পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সূর্যলক্ষ্মী দেববর্মা খোয়াই থানায় জি ডি এনট্রি করেন এবং স্কুলের এই কলঙ্ককে ঢাকতে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বাড়িতে বসে নতুন করে ক্যাশবই তৈরি করে নেন প্রধান শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকা এবং দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এলাকাবাসীর তরফ থেকে জানানো হলেও জেলা শিক্ষা দপ্তর দুর্নীতি গ্রস্ত দের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই বিষয়ে শিক্ষক পিন্টুদাদের বক্তব্য ছুটি নেওয়ার পর কোথায় জয়েন করব না না করব সেই বিশেষ সংবাদ মাধ্যমের কি দরকার বিষয়টা ওনার উচ্চ আধীকারিকেরা দেখবেন এ বিষয়ে দরকার হলেও আধিকারিকদের জবাব দিহি করবেন তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে নয় বলেও সংবাদমাধ্যমকে ও হুমকি দেন।সংবাদমাধ্যম উনার কাছে এই বিষয়ে জানার ব্যাপারে এমনটা উক্তি করলেন চেরমা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক পিন্টু দেব।তাই বলে কি স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে স্কুলে জয়েন না করে পিন্টু দেবের কোথায় অন্য দপ্তরে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন নাকি বিদ্যালয়ের অধিকারীক ।উনি স্কুলের চাকরি করেন না বিদ্যালয়ের আধিকারিকের চাকরি করেন তাই বিদ্যালয়ের আধিকারিক যেখানে পাঠাবেন তিনি সেখানে যাবেন তাই বলে কি স্কুলে ছুটি নিয়ে ছুটি শেষ হবার পর নিজ কর্মে জয়েন না করে অন্য জায়গায় কাজ করলে উনাকে দেখে অন্যান্য শিক্ষকরা একই ধরনের কাজ করতে পারে এবং এই ধরনের মন্তব্য করতে পারে তাহলে তো স্কুলের নিয়ম কানুন টাই নষ্ট হয়ে যাবে উনার এই ধরনের চিন্তা ভাবনার কারণে।এখন দেখার বিষয় জেলা শিক্ষা আধিকারিক শিক্ষক পিন্টু দেবের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয় ।