উল্লেখ্য থাকে,,বিগত বাম আমলের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের হাত ধরে পরিকাঠামোর উন্নয়ন না করেই তেলিয়ামুড়া গ্রামীন হাসপাতালকে মহকুমা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এরপর রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মহকুমা হাসপাতালের উন্নতি কল্পে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়িকা। কিন্তু বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চলছে বিভিন্ন সমস্যা। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সহ আত্মীয় পরিজনেরা একপ্রকার নাজেহাল।বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে এস.ডি.এম.ও হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন চন্দন দেববর্মা এবং এম.ও.আই.সি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অজিত দেববর্মা। কিন্তু একাংশ রোগী সহ আত্মীয় পরিজনমহলের অভিযোগ,, চন্দন দেববর্মা ও অজিত দেববর্মা এই দুইয়ের বদান্যতায় মহকুমা হাসপাতালে লাটে উঠেছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। হাসপাতালে কাগজে কলমে চক্ষু, দন্ত, শিশু সহ বিভিন্ন চিকিৎসক থাকলেও হাসপাতাল চত্বরে তাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে বের করা দুষ্কর। কাগজে কলমে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত ও.পি.ডি ব্লকে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে তা আর দেখা মিলছে না তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। তাছাড়া হাসপাতালের ঔষধ বিতরণ কেন্দ্র থেকে সঠিকভাবে ঔষধ না দেওয়া সহ সকল ১১ টার পর ঔষধ বিতরন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের হাসপাতালে আসার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে কান পাতলেই শোনা যায়, মহকুমা হাসপাতালের এম.ও.আই.সি অজিত দেববর্মা ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুশান্ত সাহা নিজেদের পকেট ভর্তি করতে হাসপাতালেই খুলে বসেছে ডি.এন.সি ব্যাবসার রমরমা আসর। আর সবকিছু জেনে শুনেও মুখে নাকি কলুপ এঁটেছেন এস.ডি.এম.ও চন্দন দেববর্মা এমনটাই অভিযোগ হাসপাতালে আসা একাংশ রোগী সহ তাদের আত্মীয় পরিজনের। অভিযোগ রয়েছে,, মহকুমা হাসপাতালে পরীক্ষাগারে দায়িত্বে থাকা জনৈক কর্মী মহারানীপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও উনি বড়লাটের মতো হাসপাতালে আসে বেলা ১১-১২ টা সময়। পাশাপাশি মহকুমা হাসপাতালটির পেছনের দিকে বিভিন্ন নোংরা আবর্জনায় এবং দুর্গন্ধে মম করে গোটা হাসপাতাল চত্বর। মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির ফান্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা রয়ে গেলেও এস.ডি.এম.ও চন্দন দেববর্মা রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে হাসপাতালের পেছনের নোংরা আবর্জনার স্থলটি মাসে একবারও পরিষ্কার করেন না বলে অভিযোগ।বৃহস্পতিবার সকালে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে চক্ষু,দন্ত,শিশু,স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি ও.পি.ডি কেন খোলা হল না এবিষয়ে চিকিৎসক তথা এম.ও.আই.সি অজিত দেববর্মার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে অনেকটা আমতা আমতা করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপকৌশল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আজকের সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে তাই হয়তো’বা চিকিৎসকেরা সময় মতো পাতালে উপস্থিত হতে পারেননি।তবে বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালটি এস.ডি.এম.ও এবং এম.ও.আই.সি’র বদান্যতায় যেভাবে মর্জি মাফিক চলছে তাতে করে মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী সহ তাদের আত্মীয় পরিজনদের প্রচন্ডভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।