Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে ছাত্র-ছাত্রীদের বেল্লাপনা। দ্বিতীয় পর্ব

খোয়াই সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে ছাত্র-ছাত্রীদের বেল্লাপনা। দ্বিতীয় পর্ব

খোয়াই প্রতিনিধি ২২ শে আগস্ট…সারা রাজ্যের সাথে খোয়াই মহাকুমার নাম দেশের অন্যান্য রাজ্যে ও খুবই পরিচিত সাংস্কৃতিক শহরের পিঠস্থান হিসেবে এর জন্য এই মহাকুমাকে আজও অন্য চোখে দেখে।কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই সংস্কৃতিক শহর খোয়াইকে কুলুষিত করতে খোয়াই সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর কিছু ছাত্র ছাত্রীরা সংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত খোয়াই শহরকে পাশাপাশি ওই ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়টিকে কলঙ্কিত করে ছাড়লো ।ক্লাস রুমে তাদের বেল্লাপনার ভিডিও দেখে লজ্জিত সমস্ত মহাকুমা বাসি।কি ধরনের বেল্লাপনা করেছ সেটা না দেখলে বুঝতেই পারবেনা যে ছাত্র ছাত্রীদের মন মানসিকতা কতটুকু নিচুস্তরের হলে এই ধরনের ভিডিও ভাইরাল হয়।এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন দেববর্মার ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি কৃষ্ণা দাসের ।যখন এই ঘটনার স্কুলে চলছিল তখন প্রধান শিক্ষক রতন দেববর্মা বহিরাজ্যে অবস্থান করছিলেন। তখন স্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা দাস।স্কুল চলাকালীন সময়ে ক্লাসের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা ব্যাভিচারিতায় লিপ্ত ছিল সেই বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি কৃষ্ণ দাস কে প্রশ্ন করা হলে তিনি হাসতে হাসতে এর সাফাই গাইতে শুরু করেন ওনার এই ভাব ভঙ্গি মেয়ে দেখে মনে হয়েছিল এটি কোন বিষয়ই না এই বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন উনার এই ধরনের উক্তি এবং ভাব ভঙ্গিতেপষ্ট বুঝা গেছে যে এই ধরনের ঘটনা স্কুলে আগেও ঘটেছে নতুন কিছু নয় যেটা উনার জানা ছিল তাই সেই বিষয়টিকে নিয়ে তিনি তেমন কিছু মাথা ঘামাননি।তাই প্রশ্ন করা হলে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ব্যাভিচারিতার বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান তিনি একটি বিশ্রী হাসির ছলে যা সাংবাদিকদের চোখ কে ফাঁকি দিতে পারেনি। শুধু তাই না উনার কার্যকলাপ এবং ব্যবহারে অতিষ্ঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ পাঠরত ছাত্র ছাত্রীরা যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যভিচারিতায় লিপ্ত থাকে সেই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ছাত্রীদেরকে শাসন করেন ফিতা দিয়ে কেন চুল বেঁধে আসে না এমন কি কপালে কেন টিপ ফোটা দেওয়া হয় তা নিয়ে ছাত্রীদের উপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেন বলেও একটি সূত্রে খবর রয়েছে ।সরকারি প্রধান শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কুলের ড্রেস ভুষা নিয়ে বিভিন্ন কথা বললেও সে স্কুলে এমন অনেক শিক্ষিকা আছে যাদের জামা কাপড় পরার নমুনা দেখলে মনে হবে না তিনি একজন শিক্ষিকা দেখলে মনে হবে কোন পার্টিতে যোগদান করতে যাচ্ছেন ।সেই সব শিক্ষিকাদের বিষয়ে কোন ধরনের নিয়ম নীতি নেই যাক খোয়াই বাসি অনেকেই লক্ষ্য করেছেন সেই বিষয়ে আর বিস্তারিত না বলাটাই ভালো। শুধু তাই না ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের যে ক্লাস রুমটিতে ব্যবিচারিতায় লিপ্ত ছিল সেই ক্লাস রুমটি সহ সবগুলো ক্লাসরুমে সিসি ক্যামেরা রয়েছে ক্লাস রুমটি হলো রুম নং ৭ সেই ক্লাসরুমে সিক্স এ এবং ফাইভ এর ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করে থাকে।এবং সেই ক্লাস রুম গুলির সিসি ক্যামেরার মনিটরটি রয়েছে প্রধান শিক্ষক মহাশয় এর কক্ষে।তাহলে ঘটনার দিন কে সেই সিসি ক্যামেরাটি মনিটরিং কর ছিল বা কেনই বা ওনারের চোখে সেই দৃশ্যগুলি পড়নি সেটাই বোধ গম্য হচ্ছে না।নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ভিডিও ফুটেজ গুলি মুছে দিয়েছেন কিনা সেটা নিও প্রশ্ন উঠছে।কারণ সেই সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ গুলি খতিয়ে দেখলেই প্রমাণ পেয়ে যাবে ব্যভিচারে কোন কোন ছাত্র-ছাত্রী ছিল।তবে স্কুলের এই ব্যাভিচারিতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও অন্যান্য অভিভাবকের মধ্যে আতঙ্ক এবং দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ অভিভাবক তাদের নিজের ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষে সাংবাদিকদের কথার চাপে পড়ে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা দাস পরোক্ষভাবে সেই দিনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি এও বলেন যখন শ্রেণিকক্ষে কোন শিক্ষক থাকে না তখন ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যভিচারিতায় লিপ্ত হয় তাহলে ক্লাসরুম গুলিতে যে সিসি ক্যামেরা গুলি লাগানো হয়ে ছিল সেগুলি দিয়ে কি স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন সিনেমা শুটিং করতেন !?এখন তো তাই মনে হচ্ছে। এখানে প্রশ্ন প্রধান শিক্ষক রতন দেববর্মা এবং সহকারী প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা দাস কিভাবে স্কুল পরিচালনা করছেন। স্কুলে পটন-পাটন বলতে কিছুই নেই বর্তমানে তাইতো এসব চলছে স্কুলে। তিনি বারবার এই কথাই বলছেন ক্লাসরুমে যখন শিক্ষক থাকেনা তখন ছাত্র-ছাত্রীরা এই ধরনের কাজে লিপ্ত হয়। আসলে তিনি কি বুঝাতে চাইছেন ওটা সংস্কৃতির শহর খোয়াই মহকুমা বাসির কোন মতেই বোধগম্য হচ্ছে না।অন্যদিকে স্কুলে বি এম এস অন্তর্গত টি আর কে এস সংগঠনের দুটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। একটি গোষ্ঠী চলছে রাজিব সূত্রধরের নেতৃত্বে। অপর গুষ্টিটি হচ্ছে অশোক দাসের।আর এই দুই গোষ্ঠীর যাঁতাকলে পড়ে নাজেহাল অবস্থা বিদ্যালয়ের পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতাধীন হলে ও বিদ্যালয়ে রয়েছে পরিকাঠামোর অভাব পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা দেড় হাজার। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণের ক্লাসরুম। পানীয় জল, শৌচাগার নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ বিশেষ করে ছাত্রীদের। এদিকে সোমবার এ ভি বি পি সংগঠনের উদ্যোগে এক প্রতিনিধি দল খোয়াই সরকারি ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণ দাসের সাথে মিলিত হয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব চায় তারা। সম্প্রতি খোয়াই শহরে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাভিচারিতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে।এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি কৃষ্ণ দাস এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের কে ব্যাপক অপমান করে বলে জানা যায় স্কুলের ব্যভিচারিতা বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে। তবে এই সমস্ত ঘটনাটি কে নিয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত খোয়াই শহরের নাম কলঙ্কিত করে ছাড়লো।আর তাতে করে সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ভবিষৎ পুর অন্ধকারে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

eight − six =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য