Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করলো যুবতি, ভালোবাসার শক্তি প্রকাশ...

ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করলো যুবতি, ভালোবাসার শক্তি প্রকাশ খোয়াই জেলায়

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
ভালোবাসার টানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছেন খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার এক মুসলিম মেয়ে। যার নাম জরিনা বেগম বয়স ২২ ওই মেয়েটির বাড়ি তেলিয়ামুড়া জারিলংপাড়া গ্রামে। তার বাবা কায়েম মিয়া সাধারণ কৃষক। জানা যায়, গত ২রা মে ২০২৩ইং মেয়েটি পরিবারের সবাইকে ছেড়ে দিয়ে নতুন জীবনের পথে পাড়ি জমায়। এদিনেই নিজের ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্মে স্থানান্তরিত হতে খোয়াই আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে এফিডেবিট সম্পন্ন করে। আদালতের ছাড়পত্র হাতে নিয়েই দীর্ঘ ছয় বছরের প্রেম জীবনে সিলমোহর দেয়। জানা গেছে খোয়াই থানাধীন উত্তর চেবরী গ্রামের নিরঞ্জন দেবনাথের ছেলে রঞ্জিত দেবনাথ (২২)-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই মধ্যে ঘটনা চাউর হলে স্থানীয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদের নজরে আসে বিষয়টি। তাদের সহযোগিতায় শুক্রবার কল্যানপুর ঘিলাতলীস্হিত ত্রিপুরেশ্বর রাধা গিরিধারী শিব মন্দিরে হিন্দু শাস্ত্র মতে আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। ধর্ম পরিবর্তনের পর জরিনা তার নতুন নাম রেখেছে সোনালী দেবনাথ। এদিকে মুসলিম মেয়ের ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করায় জারিলংপাড়া এলাকায় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। মন্দিরে হিন্দু শাস্ত্র মতে সাতপাকে মালা বদলে বিয়ে পর্ব শেষে নববধূ সোনালী দেবনাথ নিজের স্বামী রঞ্জিত দেবনাথকে সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন
ইসলামে তিন তালাক ও বহু বিবাহের প্রবণতা আছে । যা বর্তমান সময়ে একেবারেই বেমানান, যা মানতে পারে নি জারিলংপাড়ার বাসিন্দা বছর বাইশের মুসলিম তরুনী জরিনা বেগম । আর ইসলামের ওই দুই রীতি থেকে মুক্তি পেতেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে হিন্দু প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করলেন। হিন্দু রীতি মেনে প্রেমিক রঞ্জিতের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তিনি । কল্যানপুর থানার অন্তর্গত ঘিলাতলী ত্রিপুরেশ্বরী রাধা গিরিধারী শিব মন্দিরে বৈদিক মন্ত্রচ্চারণের মধ্য দিয়ে তাঁদের বিবাহ পর্ব সম্পন্ন করেছেন। আজ থেকে দীর্ঘ ছয় বছর পূর্বে দুরপাল্লার গাড়ির সহচালক উত্তর চেবরী গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত দেবনাথের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তা মেনে নেয় নি। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে আমি বাধ্য হই এবং নিজের ইচ্ছায় ধর্ম ত্যাগ করে আগামীদিনের সোনালী জীবনের পথে পাড়ি দেই। এদিনের বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের খোয়াই জেলার চেয়ারম্যান কানাই শীল, সংগঠনের মন্ত্রী মহেন্দ্র পাল, সম্পাদক বিজয় গোপ, বজরং দলের উপশাখার সম্পাদক সত্যজিৎ রায় প্রমুখ। নতুন ভাবনায় নব দম্পতির বিয়েকে কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গণে উৎসুক মানুষের ভীড় ছিল লক্ষণীয়। শেষে মধ্যান্নভোজের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

12 + 4 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য