বর্তমান রাজ্য সরকার পুরাতন ধর্মীয় রীতিনীতি ও সনাতন পরম্পরার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারণ এগুলো মানুষের মধ্যে একতা, মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটায়। গতকাল শান্তিরবাজার মহকুমার মুহুরীপুর রাজ-রাজেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে ২ দিনের পর্যটন উৎসব এবং দীপাবলি মেলার উদ্বোধন করে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন। উদ্বোধকের ভাষণে সাংসদ আরও বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যের মন্দির ও পর্যটন স্থানগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে মাতাবাড়ির মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি মন্দিরকে মনোরম করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, রাজ্য সরকার ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য মানুষকে উৎসাহদান করছে। ফলে আগের তুলনায় উৎসব, পূজা, মেলা এসব বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে গ্রামীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। অর্থনীতি মজবুত হচ্ছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত ও মেলা কমিটির সম্পাদক দিলীপ নমঃ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শান্তিরবাজার মহকুমার মহকুমা শাসক সঞ্জীব চাকমা। সভাপতিত্ব করেন মেলা কমিটির সভাপতি স্বপন পাটারি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী দ্বিপায়ন চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত ও নকুল পাল। রাজ্য সরকারের ১১টি দপ্তর উন্নয়নমূলক তথ্যের সমন্বয়ে মেলায় প্রদর্শনী স্টল খুলেছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। গতকাল সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব সহ অন্যান্য অতিথিগণ পশ্চিম পিলাকের মাহেশ্বরী কালী মন্দির প্রাঙ্গণে দীপাবলি উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করেন। এখানেও দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।