শহরের উন্নয়নের কাজে পৌর নিগম ,পূর্ত দপ্তর এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্পের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।রবিবার আগরতলা পৌর নিগমের কুড়ি ,ষোলো এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এর বিভিন্ন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে প্রকারান্তরে এই অসন্তোষ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়নের কাজে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে কো অর্ডিনেশন থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা রবিবার আগরতলা পৌর নিগমের কুড়ি ,ষোলো এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার ,স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আধিকারিক ডক্টর শৈলেশ কুমার যাদব, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গীত্যে সহ স্থানীয় কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা ।মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড গুলির সড়ক সংস্কার এবং নর্দমার ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। এই প্রসঙ্গে এলাকাবাসীর অভিযোগও শোনেন মুখ্যমন্ত্রী ।পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান ,শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেক সমস্যা রয়েছে। সমস্যা রয়েছে বোঝাপড়ার ।তিনি বলেন, আগরতলা পৌর নিগমের সাথে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের যেমন বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে তেমনি স্মার্ট সিটির সাথে পূর্ত দপ্তরের সমস্যা রয়েছে ।উন্নয়নের কাজে এই দপ্তর গুলির মধ্যে বোঝাপড়া থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ।মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্ষার আগেই শহরের বিভিন্ন কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোন কারণে বর্ষার আগে কাজ সারতে না পারলে এই কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। কাজ চালিয়ে যেতে হবে। শহরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এর কাজ আপ টু দ্যা মার্ক বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ।তিনি বলেন, উন্নয়নের কাজ জনগণের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আগরতলা পৌর নিগমের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ড এলাকাও ঘুরে দেখেন। করি নম্বর ওয়ার্ডের অধীন শান্তি পাড়া এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট এবং পুকুর ঘুরে দেখেন চিনি ।পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান ,শান্তিপাড়ার পুকুর নিয়ে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে ।পুকুরে একটি অত্যাধুনিক ঘাট নির্মাণ করা হবে।পুকুরের জল ফেলে দিতে হবে ।তিনি আরো জানান ,সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এলাকার যেসব রাস্তাঘাট সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন শান্তিপারা এলাকার ক্ষেত্রমোহন স্কুলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী ।এই বিদ্যালয়টি একপ্রকার মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়ে ছিল। তিনি নিজে এর উদ্যোগ গ্রহণ করে একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন ।এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।