বাংলাদেশে সনাতনী ধর্ম গুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহাশয়ের বিনা শর্তে মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো সনাতনী হিন্দু সেনা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটি ।কমিটির পক্ষ থেকে এদিন বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনারের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশের সনাতনী ধর্ম গুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরায় ।গতকালও সনাতনী ধর্ম গুরুর বিনা শর্তে মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদে গর্জে উঠে। বুধবার একই দাবিতে রাজধানীর বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও করলো সনাতনী হিন্দু সেনা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটি ।সনাতন হিন্দু সেনার সদস্য সদস্যরা মিছিল করে সার্কিট হাউস সংলগ্ন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সামনে যায় এবং কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোপ্রদর্শন করে ।বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে অবিলম্বে সনাতনী ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তির দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি গত পাঁচ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের চলমান হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বন্ধের দাবিও জানানো হয়। এদিন বিক্ষোভকারীদের পক্ষে গিরিধারী মাধব দাস এই কথা জানান। তিনি জানান ,ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলের কাছে হরিনাম প্রচার করি ।এই ক্ষেত্রে মুসলিমদের ধর্মান্তরিত হওয়ার কোনরকম জুলুম করা হয় না ।উনারা নিজেরাই ধর্মান্তরিত হচ্ছেন ।কারণ তারা দেখেছেন শান্তি যদি থাকে তবে তা একমাত্র সনাতন ধর্মেই রয়েছে।
এদিন এই বিক্ষোভ প্রদর্শণের মধ্যেই সনাতনী হিন্দু সেনা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের সাথে দেখা করে তার হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন ।এই প্রতিনিধি দলের পক্ষে সনাতনী হিন্দু সেনা ত্রিপুরা প্রদেশের কার্যকর্তা খোকন বিশ্বাস জানান ,অবিলম্বে ধর্ম গুরুকে বিনা শর্তে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের উপর অত্যাচার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারক লিপিতে ইউনুস সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। তিনি জানান ,এই অত্যাচার বন্ধ না হলে হিন্দু সেনা আগামীদিনে আরো বৃহৎ আন্দোলন সংঘটিত করে তুলবে।
এদিন সনাতনী হিন্দু সেনা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির এই বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।