মনিপুরের সৃজা হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই রাজ্য সরকার জমি দিয়েছে বলে কংগ্রেস দলের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে পর্যটনমন্ত্রী শ্রী চৌধুরী জানান, সৃজা হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মনিপুরে গত ৩৯ বছর ধরে সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করছে। গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সৃজা হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট রাজ্য সরকারের কাছে ত্রিপুরায়ও একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খুলতে চেয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নীতি হল, যদি কোন বেসরকারি সংস্থা রাজ্যে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির পরিকাঠামোগত উন্নয়নে আগ্রহী হয় তবে রাজ্য সরকার তাদের প্রয়োজনীয় জমি প্রদানের ব্যবস্থা করবে। সেই ঘোষিত নীতি অনুসারেই রাজ্য সরকার সৃজা হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে জমি প্রদানের জন্য জমির অনুসন্ধান শুরু করে। অবশেষে আর কে নগরে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অব্যবহৃত ২৮ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। সে অনুসারে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাওয়ার পর তা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জেলাশাসক থেকে সেটি রাজস্ব দপ্তর হয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হবে। পর্যটনমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই সৃজা হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে জমি প্রদান করবে। এর আগে কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালকে ধর্মনগরে হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ১৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও আইএলএস হাসপাতালকে পূর্বতন সরকার জমি প্রদান করেছিল। তিনি জানান, সৃজা হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট আগামী কয়েক বছরে ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে। রাজ্য সরকারও রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। বর্হিরাজ্যে রেফারেল রোগীর সংখ্যা আরও কমানোর লক্ষ্যে রাজ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রাজ্য সরকারও সেই দিশায় কাজ করছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে উপস্থিত ছিলেন।