জাতীয় লাইভস্টক মিশনে প্রাণীসম্পদ পালনের মাধ্যমে ৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যের ১১ জন স্বউদ্যোগী প্রাণীপালককে প্রকল্পভিত্তিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে শূকর পালনে ৬ জন, ছাগল পালনে ৩ জন এবং হাঁস ও মুরগী পালনে ২ জনকে এই সহায়তা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে ১১ জন স্বউদ্যোগী প্রাণীপালককে মোট ২ কোটি ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮ টাকা ভর্তুকি হিসেবে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার বিধানসভায় বিধায়ক নয়ন সরকারের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস এ তথ্য জানান। প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী জানান, জাতীয় লাইভস্টক মিশনের অধীনে প্রাণীসম্পদ পালনের মাধ্যমে আয় উপার্জনের লক্ষ্যে সুবিধাভোগীদের শূকরের খামার, ছাগলের খামার, হাঁস মুরগীর খামার, ফিড, ফডার ও সাইলেস তৈরির ইউনিট প্রতিষ্ঠা করার জন্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী জানান, জাতীয় লাইভস্টক মিশনে সুবিধাভোগীদের প্রকল্প প্রতিষ্ঠার মোট মূলধন ব্যয়ের ৫০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদান করা হয়। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যে মোট ২১৬ জন স্বউদ্যোগী সুবিধাভোগী এই প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার আবেদন করেছেন। বিধায়ক নয়ন সরকারের অন্য একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রাণীসম্পদ বিকাশমন্ত্রী জানান, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজ্যে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে হাঁস, মুরগী ও শূকর পালনের জন্য সুবিধাভোগীদের সহায়তা করা হয়। এই সময়ে হাঁস পালনে ১১,৬৯১ জন, মুরগী পালনে ৩৭,৪৪৫ জন এবং শূকর পালনে ১৩,৮৫৫ জন প্রাণীপালককে সুবিধা দেওয়া হয়। গত তিনটি অর্থবছরে ৩৯০ জন সুবিধাভোগীকে গরু বিতরণ করা হয়েছে।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ এবং বিধায়ক নয়ন সরকারের অপর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী জানান, রাজ্যে ডিম এবং দুধের চাহিদা পূরণ ও উৎপাদনে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।