ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি বরদাস্ত করবে না সরকার ।সোমবার বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সাথে বৈঠকে এই কথা জানিয়ে দেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ।এদিন সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসের কনফারেন্স হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অতি বৃষ্টির কারণে রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি চলছে। এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একদল ব্যবসায়ী বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী অধিক মূল্যে বিক্রি করছেন ।এই অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালে সচিবালয়ে নিজ অফিসের কনফারেন্স হলে এক বৈঠক ডাকেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বৈঠকে খাদ্য জনসংহরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সহ সাব ডিভিশনাল ফুড কন্ট্রোলার ,অল ত্রিপুরা ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশন ,অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পটেটো ,অনিয়ন এন্ড গার্লিক মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, হোলসেল গ্রোসারিজ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ,চেম্বার অফ ট্রেড এন্ড বিজনেস, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার কমিটির কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন ।উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের অধীন পেট্রোপণ্য ও এলপিজি সরবরাহের সাথে যুক্ত আই ও সি এল এর আধিকারিক সহ অন্যান্যরা। বৈঠকে শুরুতেই রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন ,এই পরিস্থিতিতে সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তাই বাজার গুলিতে বন্যা পরিস্থিতির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য সহ পেট্রোপণ্য ,এলপিজি সিলিন্ডার ইত্যাদি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। তিনি আরো জানান, অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সামগ্রীর কালোবাজারি প্রতিরোধে খাদ্য দপ্তর সচেষ্ট রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গত দুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে একাংশের ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রি অধিক মূল্যে বিক্রি করা শুরু করেছে। কোথাও কোথাও আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ।এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরই শুক্রবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।