প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব এই পবিত্র দিনে বোনেরা ভাইয়েদের হাতে রাখি পরিয়ে মঙ্গল কামনা করেন বিনিময়ে ভাই তার বোনকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন এই উৎসবটিকে ভাইফোঁটার মতোই ভাই এবং বোনের অটুট ভালোবাসা ও উৎসর্গের পথিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এই উৎসব পালনের পেছনে একটা সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এই ইতিহাস খুঁজতে গেলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে মহাভারতের কাহিনীতে মহাভারতে কথিত আছে যে ১০০ টি অপরাধ করার পর শিশুপালকে হত্যা করার জন্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তর্জনী কেটে রক্তপাত শুরু হয় তখন দ্রৌপদী তার শাড়ির আচলের এক টুকরো ছিড়ে শ্রীকৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন তখন শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদী কে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এরই পরিপ্রেক্ষিতে মহাভারতে বস্ত্রহরণের সময় প্রতিশ্রুতি অনুসারে রাজার ধৃতরাষ্ট্রের দরবারে দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন থেকেই পৌরাণিক মতে এই রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়ে আসছে বলে বিভিন্ন মহলের ধারণা। এই রাখি বন্ধন অনুষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছেন বাঙালি গর্ব বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালের জুন মাসে লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেই বছরেই আগস্ট মাসে বঙ্গভঙ্গ আইন পাশ হয় বঙ্গভঙ্গ আইনটি 1905 সালের ১৬ই অক্টোবর কার্যকর হলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলা এবং ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার আহ্বান জানান। এই রাখি বন্ধন উৎসবের ট্রেডিশন আজও সমানে বয়ে চলছে রাখি বন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই হাটে বাজারে শুরু হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের রাখির সমাহার নিয়ে বসা প্রতিবছরের মতো এবারও হরেক রকম রাখি সমাহার নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা আর কেনাকাটাও শুরু হয়ে গেছে এদিন রাজধানীর এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এমনটাই জানালেন। এদিন রাজধানীর আরেক রাখি বিক্রেতা জানান ডটকমের এই যুগে হারিয়ে গেছে নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বিজয়া দশমীর মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে গ্রিটিংস কার্ডে শুভেচ্ছা জানানোর রীতি নীতি কিন্তু স্বমহিমায় রয়ে গেছে রাখি রাখি বন্ধন কে সামনে রেখে আবারো তিনি হরেক রকম রাখির সমাহার নিয়ে বসেছেন বেচাকেনা ও চলছে ভালোই বলে জানান তিনি।জানা গেছে শুধু রাজধানীতেই নয় রাজ্যের প্রতিটি গেলা মহকুমা এবং গঞ্জো শহরেও শুরু হয়ে গেছে রাখির কেনাবেচা। আরো কয়েকটি দিন চলে গেলে পরে রাখির কেনাবেচায় গতি বাড়বে বলেই ব্যবসায়ী মহলে অভিমত।