Friday, October 25, 2024
বাড়িখবররাজ্য২৪তম জাতীয় মৎস্যচাষী দিবস উদযাপন

২৪তম জাতীয় মৎস্যচাষী দিবস উদযাপন

লেম্বুছড়াস্থিত মৎস্য মহাবিদ্যালয়ে আজ ২৪তম জাতীয় মৎস্যচাষী দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে মৎস্য মহাবিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ব্লু ট্রান্সফরমেশান পদ্ধতিতে মাছচাষ বিষয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ২০০ জন মৎস্যচাষী অংশ নেন। ২৪ তম জাতীয় মৎস্যচাষী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইম্ফলস্থিত সেন্ট্রাল এগ্রিকালচার‍্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটেনশান এডুকেশনের ডিরেক্টর অধ্যাপক পি এইচ রঞ্জিত শর্মা। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, মৎস্যচাষ সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে মৎস্যচাষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে আপনাদের চলতে হবে। তিনি বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে প্রতিবছর দশমিক ৯৩ মিলিয়ন টন মাছের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন হয় দশমিক ৫৯ মিলিয়নটন। এই ঘটিতি পূরণে তিনি আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড প্রভৃতি রাজ্যকে মাছচাষের সাথে গাভী, হাঁস পালন, কৃষিও উদ্যান পালন অর্থাৎ ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং-এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এক্ষেত্রে ব্লু ট্রান্সফরমেশন এক বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করে। তিনি উপস্থিত মৎস্যচাষীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সেট্রাল এগ্রিকালচার‍্যাল ইউনিভার্সিটি মৎস্যচাষ ও কৃষির উন্নয়নে গবেষণা, শিক্ষা ও এক্সটেনশান এডুকেশন এই তিনটি বিষয়ে কাজ করে চলেছে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির ভাষণে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির (ত্রিপুরা) ভাইস চেন্সালার অধ্যাপক রতন কুমার সাহা বলেন, মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। ত্রিপুরায় বছরে একজন প্রায় ২৬ কিলোগ্রাম মাছ আহার করেন। রাজ্য সরকার রাজ্যে মাছ চাষ ও মাছচাষের নতুন নতুন এলাকা সম্প্রসারণে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন আইসিএআর রিজিওন্যাল সেন্টারের (ত্রিপুরা) প্রিন্সিপাল সাইন্টিষ্ট ড. বুরহান ইউ. চৌধুরী, অসমের কলোং কপিলির (এনজিও) অধিকর্তা জ্যোতিষ তালুকদার ও নাবার্ডের জেনারেল ম্যানেজার অনিল এস কুটমাইর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য মহাবিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক এ বি প্যাটেল। অনুষ্ঠানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্যের সেরা আট জন মৎস্যচাষীকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রত্যেককে দেওয়া হয় ৫ হাজার টাকার চেক, শংসাপত্র ও মেমেন্টো। এছাড়া ২০০ জন মৎস্যচাষী ও কৃষককে দেওয়া হয় মাছের পোনা, মাছের খাদ্য, মাশরুম বীজ ও সার। এছাড়া মাছের লোগো ডিজাইনের জন্য আয়না তামাটকে পুরস্কৃত করা হয়। রঙ্গোলী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অতিথিগণ মাছচাষের পুস্তিকার আবরণ উন্মোচন করেন। এরপর বিশেষজ্ঞগণ ২০০ জন মাছচাষীকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন। সবাইকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন অধ্যাপক অনিল দত্ত উপাধ্যায়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

sixteen + 7 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য