Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবররাজ্যকংগ্রেসের প্রচার ব্যাহত করতে বিজেপি আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা সক্রিয় অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেসের

কংগ্রেসের প্রচার ব্যাহত করতে বিজেপি আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা সক্রিয় অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেসের

শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার অভিযোগ তুলল প্রদেশ কংগ্রেস ।সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস দল। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেসের প্রচার ব্যাহত করতে বিজেপি আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেসের।বুধবার কংগ্রেস ভবনে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী এই অভিযোগ করেন। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের একটি ঘটনা তুলে ধরেন তিনি ।সেখানে কংগ্রেসের প্রচার সজ্জা বোঝাই একটি অটো গাড়িকে থামিয়ে অটো চালককে বেধড়ক মারধর করা হয়। অটো থেকে কংগ্রেসের প্রচার সজ্জা গুলি নামিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার অপচেষ্টা চলছে ।শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন ,বিজেপির নির্বাচন কমিশন এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই ।এই অবস্থায় নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনে সব কটি রাজনৈতিক দল যেন নির্ভয়ে সমানভাবে প্রচার করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যেও নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস প্রবক্তা প্রবীর চক্রবর্তী। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। এই প্রসঙ্গে নোট বাতিলের ঘটনাটি তুলে ধরে তিনি বলেন, সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে ৯৭ শতাংশ ২ হাজার টাকার নোট এখন পর্যন্ত জমা পড়েছে ।এক্ষেত্রে প্রবীর চক্রবর্তীর প্রশ্ন, তাহলে কালো টাকা গেল কোথায়?যে কালো টাকা উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হুট করে নোট বন্দী ঘোষনা করলেন। তিনি আরো বলেন পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপি প্রার্থী বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম কথা বলছেন মানিক সরকার কে কোথায় ভোট দিতে হবে সেই পরামর্শ দিচ্ছেন অথচ চার বছর দু মাস মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর হঠাৎ করে কেন তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে হটিয়ে রাজ্যসভায় পাঠানো হলো ।তিনি বলেন, এই বিষয়গুলি নিয়ে নির্বাচক মন্ডলী জানতে চায়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিজেপি দলকে স্পস্টিকরন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

four × three =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য