বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২১শে অক্টোবর….. বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে খোয়াই মহকুমা জুড়ে যেভাবে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে তার কোনোভাবেই লাগামটানা সম্ভব হচ্ছে না । বিশেষ করে বিভিন্ন বাড়ি ঘরে চুরির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত । অন্যদিকে চুরির ঘটনা গুলি লাগাম টানার জন্য পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করেও লাগাম টানতে পারছে না।তেমনই একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে খোয়াই বাইজাল বাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত আঠাইবাড়ী এলাকায়। আঠাই বাড়ি এলাকার বাসিন্দা অনুরায় দেববর্মার বাড়িতে গত ১৪ ই অক্টোবর । ঘটনার বিবরণে পুলিশ জানায় অনুরায় দেববর্মা বাইজাল বাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের মূলে সোমবার স্বর্ণালংকার চুরি এবং ক্রয় করার অভিযোগে তিন জন অভিযুক্ত কে আটক করে পুলিশ। এই চুরির ঘটনাটি সংঘটিত হয় চলতি মাসের ১৪ই অক্টোবরে । চুরির ঘটনাটি থানায় দায় করা হয় ২১-১০-২০২৪ তারিখে। খোয়াই থানায় দায়ের কৃত মামলার নম্বর ৬৬/ ২০২৪ । ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩১ (৪)/৩০৫(এ )/৩৫ ধারায় মামলা লিপিবদ্ধ হয়। চোর নগদ অর্থ , মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট দেয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে ঘটনার সাথে যুক্ত চাম্পা হাওর থানাধীন তুলাশিখর রাম দেওয়ান চৌধুরীপাড়ার যুবক আকাশ দেববর্মার হদিশ পায় পুলিশ। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জেরায় চুরির ঘটনায়় অভিযুক্ত আকাশ দেববর্মা জানায় চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার গুলো চেবরী এবং কল্যাণপুর এলাকার স্বর্ণকার সৌমেন দেবনাথ এবং প্রানেশ দাসের নিকট বিক্রি করেছে সে। খোয়াই থানার পুলিশ তার স্বীকারোক্তি মূলে দুই স্বর্ণকারকে জালে তুলে। এবং তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার গুলো উদ্ধার করে। সোমবার রাতে খোয়াই থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত খোয়াই মহকুমার পুলিশ আধিকারিক রঙ্গদুলাল দেববর্মা উনার সাথে ছিলেন খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার ও বাইজাল বাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রিপন উচ্চই। খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের বক্তব্য এই সমস্ত চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে ড্রাগস, এবং চুরি যাওয়া মাল ক্রয় করার জন্য একাংশ অতি লোভী ব্যক্তিদের জন্যই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড্রাগস এবং চুরির মাল ক্রয় করার উপর প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ যদি সতর্ক থাকে তাহলে আশা করা যায় চুরির ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অনেকেই ।