এই প্রাণ চঞ্চল শহরে দুঃখই যাদের নিত্য সঙ্গী, তারা সুখের আলো খুব কমই দেখতে পাই। নিজের কায়িক পরিশ্রম দ্বারা স্বল্প অর্থ উপার্জন এবং সরকারি সাহায্য সহযোগিতার মধ্য দিয়ে তারা জীবন যাপন করতে হয়। ওইসব মানুষজনরা সুখের আলো দেখার জন্য উদবিগ্র হয়ে ওঠে না। তারা কেবল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য নিত্যদিন লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা তাদের সংগ্রাম জারি থাকে সংসার প্রতি পালনের জন্য। এমনই এক ব্যক্তি গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা চানাচুর বিক্রেতা প্রদীপ ঘোষ। তিনি পরিবারের চারজন সদস্যকে নিয়ে খেয়ে বেঁচে আছেন লড়াই সংগ্রাম এবং কায়িক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। কথা প্রসঙ্গে প্রদীপ বাবু জানান,,,,,, দীর্ঘ প্রায় কুড়ি পঁচিশ বছর ধরে বাইসাইকেল নিয়ে মুখ রুচক চানাচুর শহরের বাবুদের কাছে বিক্রি করে আর সেই বিক্রির অর্থ দিয়ে নিজ সংসার প্রতিপালন করে যাচ্ছেন। দিনও দরিদ্র প্রদীপ ঘোষ নিত্যদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি মায়গঙ্গা, গোলাবাড়ি, নেতাজিনগর, চাকমাঘাট এবং তেলিয়ামুড়া শহরে ফেরি করে চানাচুর বিক্রি করছেন শহরে বাবুদের কাছে। অকপটে তিনি এটাও জানলেন দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল দাসের সহায়তায় তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পেয়েছেন এবং সরকারিভাবে এম.জি.এন রেগার কাজ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন গ্রাম প্রধান গোপাল দাস। কিন্তু প্রদীপ বাবুর দুঃখ দুর্দশা যে নিত্য সঙ্গী। অভাব অনটন ওনার পিছু ছাড়ছে না। তবে সবকিছু মিলিয়ে চানাচুর বিক্রেতা প্রদীপ ঘোষ অভাব অনটনকে পুঁজি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিন আনি দিন খাই -এর মত খেয়ে বেঁচে রয়েছেন।।