বিদ্যালয়ের পাকা বাড়ি ও ছাত্রছাত্রী থাকার ফলেও পরিকাঠামোগত ত্রুটি নিত্য সঙ্গী ঘটনা তেলিয়ামুড়া

বিদ্যালয় আছে, ছাত্র-ছাত্রী আছে, পাকা বাড়িও রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে পরিকাঠামোগত ত্রুটি যেন নৃত্য সঙ্গী। ফলে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হারও কম। ঘটনা, তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয়ের পরিদর্শকের অধীন সনাতন দাস বৈষ্ণব বাড়ি সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয়ে। তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক এই বিদ্যালয়টির এই হাল সম্পর্কে অবগত থাকার সত্ত্বেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না এই বিদ্যালয়টির সমস্যা নিরসনে।
বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল, বাদর ঝোলার মত ঝুলে রয়েছে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের উপরের সিলিং। বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষগুলিতে নেই কোন লাইট বা বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা, ফলে গরম কালের প্রচন্ড দাবদাহ গরমের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করতে হচ্ছে শ্রেণী কক্ষগুলিতে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক মহলের অভিযোগ,,,, বিদ্যালয়ে বেঞ্চ না থাকার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মেঝেতে বসেই পাঠ গ্রহণ করতে হচ্ছে। তাছাড়া, বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার ফলে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যা রাজ্যের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে এই সনাতন দাস বৈষ্ণব বাড়ি সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয়টি অনেকটাই বেমানানের মত চলছে। বিদ্যালয়ে সূত্রের জানা গেছে, এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর ৩৩ জন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে মাত্র চারজন। পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকার ফলে বিদ্যালয়ে সঠিক ভাবে ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস করানো হয় না বলেও ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে জানায়। জানা গেছে, বিদ্যালয়ে পরিকাঠামগত ত্রুটির কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়মুখী হতে চাইছে না। মূলত, এই বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক মহল সহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ভাবিয়ে তুলছে। এছাড়াও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য যে মাঠটি রয়েছে তা গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ ভূমিতে পরিণত হয়ে রয়েছে।
এখন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক মহলের দাবি যাতে অতিদ্রুত তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক এই বিদ্যালয়টির সমস্যাগুলি নিরসনে উদ্যোগী হন।।