Monday, June 23, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদনতুন আঙ্গিকে গড়ে উঠছে প্রায় দুশো বছরের পুরানো কৈলাসহরের খাওরাবিল গ্রামের রাজ...

নতুন আঙ্গিকে গড়ে উঠছে প্রায় দুশো বছরের পুরানো কৈলাসহরের খাওরাবিল গ্রামের রাজ আমলের ঐতিহাসিক চৌদ্দ দেবতার মন্দির


প্রায় দুশো বছরের পুরানো কৈলাসহরের খাওরাবিল গ্রামের রাজ আমলের ঐতিহাসিক চৌদ্দ দেবতার মন্দিরটির উন্নয়ন এবং সংস্কারের কাজ আগামী কিছু দিনের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানালেন ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা। জেলাশাসক এও জানান যে, পুরোপুরি নতুন আংগিকে অত্যাধুনিক ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে এই মন্দিরটি। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনে খাওরাবিল গ্রামে অবস্থিত দুশো বছরের পুরানো ঐতিহাসিক চৌদ্দ দেবতার মন্দির। বুধবার দুপুরে মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করতে মন্দিরে যান ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা এবং গৌরনগর ব্লকের বিডিও রামেশ্বর চক্রবর্তী। রাজ আমলে তৈরী এই মন্দিরটির উন্নয়ন এবং সংস্কারের জন্য খাওরাবিল গ্রামের মানুষ বিগত কুড়ি বছর ধরে অনেক আধিকারিকের কাছে দাবী করলেও কোনো ধরনের হেলদোল ছিলো না কোনো আধিকারিকের বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। বুধবার মন্দিরের কাজ পরিদর্শন শেষে ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা জানান যে, বিগত দশ মাস পূর্বে ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমার চেম্বারে গিয়ে খাওরাবিল গ্রামের মানুষ এই ঐতিহাসিক চৌদ্দ দেবতার মন্দিরটির উন্নয়ন এবং সংস্কারের জন্য দাবী জানিয়েছিলেন। জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা গ্রামবাসীদের কথা শোনে পরের সপ্তাহেই জেলাশাসক গৌরনগর ব্লকের বিডিও এবং দপ্তরের প্রকৌশলী নিয়ে চৌদ্দ দেবতার নাটমন্দিরে গ্রামবাসীদের নিয়ে এক বৈঠক করেন এবং কি কি কাজ করা হবে এর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা রেগার ফান্ড থেকে প্রায় ষাট লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। এবং কাজও শুরু হয়ে যায় জোরগতিতে। পর্যটকদের কাছে কিংবা ধর্ম পিপাসু মানুষের কাছে এই মন্দিরটিকে আকর্ষণীয় করে তোলতে মন্দিরে যাবার প্রায় একশো মিটার রাস্তা পাইবার দিয়ে করা হচ্ছে এবং মন্দির থেকে বের হবার দুশো মিটার রাস্তা ইট সলিং করা হচ্ছে। মন্দিরের চতুর্দিকে পাইবার বসানো হয়েছে। মন্দির কমপ্লেক্সে সেলফি পয়েন্ট করা হচ্ছে এবং মন্দির কমপ্লেক্সে বিশ্রামাগার ও যাএী শেড করা হচ্ছে। মন্দির কমপ্লেক্সে স্থায়ী ভাবে সোলারের লাইট বসানো হয়েছে। পানীয়জলের জন্য একটি বড় টেংকি বসানো হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক কাজ করা হচ্ছে বলে জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা জানানএসব ছাড়াও মন্দির কমপ্লেক্সে মন্দিরের একেবারে পাশেই অবস্থিত বিশাল আকারের পুরনো বট গাছ। কথিত রয়েছে যে, এই বট গাছের ঢালে লাল ফিতে বাঁধলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। আজও মন্দিরে আসা প্রতিটি মানুষ এই বিশ্বাস নিয়েই এই বট গাছের ঢালে লাল ফিতা বাঁধে। এই বট গাছের চতুর্দিকে স্থায়ীভাবে পাকা বেদী তৈরী করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতি বছর কৈলাসহরের খাওরাবিল গ্রামের চৌদ্দ দেবতার মন্দিরে মাঘী পূর্নিমাতে সরকারি উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী মেলা অনুস্টিত হয় এবং এই তিন ব্যাপী মেলাতে লক্ষাধিকেরও বেশি পুরনারথীর সমাগম হয়। নতুন আংগিকে খাওরাবিল গ্রামের চৌদ্দ দেবতার মন্দিরের আনুস্টানিক উদ্ধোধনের প্রহর গোনছেন কৈলাসহর বাসী সহ গোটা ঊনকোটি এবং উত্তর জেলার মানুষরা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 × 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য