জানা গেছে গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা ১ নং ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা জামাল মিয়াকে রোজভেলি পার্ক সংলগ্ন এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিল জামাল মিয়ার স্ত্রী সহ অন্যান্যরা। বেশ কিছুদিন চিকিৎসা করিয়ে জিবি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় জামাল মিয়াকে কিন্তু অসুস্থ জামাল মিয়ার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নত হয়নি। জামাল মিয়ার পরিবারে যা সঞ্চয় করা অর্থ ছিল সবকিছু খরচ করেও জামাল মিয়াকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে পারেনি। জামাল মিয়া ছিলেন একজন দিনমজুর, উনার পরিবারের রয়েছে উনার স্ত্রী সহ এক বিকলাঙ্গ পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তান। জামাল মিয়াকে চিকিৎসা করিয়ে সমস্ত অর্থ খরচ করে এখন তাদের পরিবারে না খেয়ে মরার মত অবস্থা হয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জামাল মিয়ার স্ত্রী নিজের স্বামীর এই অসুস্থতার কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানিয়েছেন জামাল মিয়ার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে যার ফলে তিনি এখন বাড়িতে বিছানায় শয্যাশায়ী, কথাও বলতে পারছেন না এমনকি কাউকে চিনতেও পারছেন না। তিনি আরো জানিয়েছেন স্বামীকে উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ এবং সামর্থ্য ওনার কোনটাই নেই। স্বামীর ঔষধ কেনা এবং পরিবারের সদস্যদের অন্য জোগাড় করার ক্ষমতা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন কেননা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন জামাল মিয়া আজ তিনি অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। এই অবস্থায় জামাল মিয়ার স্ত্রী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুধবার দুপুরে অসুস্থ স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেন ওনার স্বামীর দিকে একটু মুখ তুলে তাকান এবং তাকে সুস্থ করে তোলার ব্যবস্থা করেন।