খোয়াই প্রতিনিধি ৬ই ফেব্রুয়ারি……খোয়াই শহরের এক বিত্তশালী রাবার ব্যবসায়ীর গুণধর ছেলে নিজ রাবার গোডাউনে অবৈধ সম্পর্ক করতে গিয়ে এলাকার মানুষের হাতে ধরা খেয়ে উত্তম মধ্যম খেল। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকার লেনদেন এর মাধ্যমে খোয়াই থানায় না নিয়ে গিয়ে রতনপুর এসপিও ক্যাম্পে সারারাত বসিয়ে রেখে জামাই আদর করে পরের দিন সকালে বাড়িতে সশরীরে পৌঁছে দিল পুলিশ! রাষ্ট্রপতি কালার্স পুরস্কার প্রাপ্ত পুলিশের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা খাওয়ার মারাত্মক অভিযোগ করল এলাকাবাসী। ঘটনা বিবরণে জানা যায় গত ৩১ শে জানুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ খোয়াইয়ের দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন গয়া প্রসাদ পার্কের বাসিন্দা বিশিষ্ট রাবার ব্যবসায়ী তমাল মজুমদারের ছেলে তুহিন মজুমদার ৩৬ খোয়াই ধলাবিল এলাকায় তাদেরই রাবার গোডাউন থেকে হাতেনাতে এলাকাবাসীরা পাকড়াও করে এক মক্ষী রানী সহ। এলাকাবাসীরা তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করতেই সে তার টাকার গরম এবং প্রভাবশালীর তকমা খাটিয়ে উল্টো এলাকাবাসীদের হুমকি দিয়ে একজনের উপর চড়াও হয়। পরবর্তীতে ঘটনা বেগতিক দেখে আরক্ষা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে খোয়াই থানায় না নিয়ে গিয়ে তার বদলে রতনপুর এস পি ও ক্যাম্পে নিয়ে যায় তাকে। সেখানেও পিছু ধাওয়া করে এলাকাবাসীরা। সেখানে গিয়ে তারা অবাক হয়ে যায় যে তাকে খোয়াই থানায় না নিয়ে গিয়ে কেন রতনপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে অনেকটা সময় কাটিয়ে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার বদলে বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ ও কলমচির মাধ্যমে বিশাল অংকের লেনদেনের কারণে । গোটা ঘটনাটি খোয়াই শহরে চাউর হতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় খোয়াই শহর জুড়ে । এলাকাবাসী সূত্রে খবর গত ১৮ জানুয়ারি থেকেই সন্দেহ জাগে তাদের সেই রাবার ব্যবসায়ী ছেলের উপর। যে তাদের ধলাবিলস্থিত তাদের প্রতিষ্ঠিত ট্রেডিং ইউনিটে এইভাবেই মক্ষীরানী নিয়ে প্রায় সময়ই সে নাকি সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর অন্যান্যদের ছেড়ে দিয়ে ফষ্টিনষ্টিতে মেতে উঠে বলে এলাকাবাসী সূত্রে খবর। এরপরই এলাকাবাসীরা প্রায় সময় উৎপাতে বসে থাকে তাতে ঘটনাটির সত্যতা খুঁজে পায় সেই দিন। অবশেষে গত একত্রিশে জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে তাকে এলাকাবাসীরা সেখানে হাতেনাতে পাকড়াও করে বলে খবর। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সচেতন মহলে। অভিযোগ উঠেছে পুলিশ এবং আরো দু তিন চার জন মিলে ঘটনাটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রায় সময় এই এলাকার পরিবেশ কলুষিত হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় একটি মীমাংসা বৈঠক হয় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।