খোয়াই প্রতিনিধি ৪ঠা জুন…….গত বেশ কিছুদিন ধরে খোয়াই জেলা প্রশাসনের কিছু আধিকারিক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে একটা ট্রেন্ড চলে এসেছে কারণে অকারণে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ডেকে নিয়ে অপমান করা। প্রশাসনের একটা অংশের কর্মীদের মধ্যে মারাত্মকভাবে এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে কোনো না কোনোভাবে সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে যাওয়া, সহযোগিতা না করে বরং অপমান করা। এই অভ্যাসটা কিন্তু দিন দিন বেড়েই চলছে।মঙ্গলবার দিনটি ছিল লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিন। অথচ দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনের বৈধ পাস নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের একাধিক কর্মীরা গণনা কেন্দ্র প্রবেশ করেছিল। সাংবাদিকদের অবস্থান ছিল মিডিয়া সেন্টারে। সেই মিডিয়া সেন্টার থেকে এক এক করে গণনা কেন্দ্রে যাবে দেখবে চলে আসবে। গণনা শেষ হলে ফাস্ট রাউন্ড, সেকেন্ড রাউন্ড সহ সমস্ত রাউন্ডের ফলাফল মিডিয়া সেন্টারে এনে তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের কর্মীদের দ্বারা সাংবাদিকদের মধ্যে বিলি বন্টন করা হবে। এই হল মহকুমা শাসকের সার্কুলার এবং এই সার্কুলার টি যথারীতি হয়েছে। এখানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অন্য একটি ব্যাপার নিয়ে তা হল ভোট গণনার দিন সকাল ৮ টায় গনণা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে মিডিয়া সেন্টারে গিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই প্রচার দপ্তরের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনাদের জন্য ব্রেকফাস্ট রয়েছে এবং দুপুরবেলা গননার কাজ শেষ হওয়ার পর লাঞ্চ করার জন্য আহ্বান জানান সমস্ত সাংবাদিকদের।যথারীতি ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়েছে রুটি সবজি সহ একাধিক আইটেম। খুবই পরিতাপের সাথে বলতে হচ্ছে পরোটার সাথে যে সবজি দেওয়া হয়েছে তা কুকুরেও খাবে না তো সাংবাদিকরা খাবে কি করে আর এই খাবার দিয়ে সাংবাদিকদেরকে জেলা প্রশাসন কুকুর থেকেও অধম ভেবেছে ।আর এই ধরনের ঘটনা প্রতিবার হয়ে থাকে সাংবাদিকদের সাথে। তাছাড়া পরবর্তী সময়ে যা দেওয়া হয়েছে সেগুলিও খাওয়ার উপযুক্তই ছিলনা। তারপর দুপুর বেলার খাবারের জন্য একাধিকবার সাংবাদিকদেরকে খাবারের স্থানে ডেকে নিয়ে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয় এই বলে এখনো নাকি সাংবাদিকদের খাবারের সময় হয়নি। অথচ ঘড়িতে তখন বেলা দুইটা বেজে ৩০ মিনিট। শেষে চতুর্থবার যখন খাবারের জন্য আলোচনা চলে তখন সমস্ত সাংবাদিকরা এক জোট হয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা মহকুমা প্রশাসনের দেওয়া লাঞ্চ গ্রহণ করবোনা। এই বলে সবাই গণনা কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টার থেকে বেরিয়ে আসে।অথচ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সে ভোট গণনা হোক আর ভোট গ্রহণ হোক এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা আসে এই টাকা কিভাবে কোন খাতে খরচ হয় তার কোন অডিট হয় না বা জেলাশাসক এমন কি মহাকুমা শাসক কেও তার কোন কৈফত দিতে হয় না যার ফলেই লক্ষ লক্ষ টাকার চলে নয় ছয় ।অথচ সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে গিয়ে পচা খাবারের ব্যবস্থা করে মহকুমা শাসক আর দুপুরের লাঞ্চ করতে গেলে অপমান করে ছেড়ে দেয় মহকুমা শাসকের দপ্তরে কাজ করা কিছু অন্যান্য আধিকারিকরা।তবে এই বিষয়টাকে নিয়ে সমস্ত সাংবাদিক মহলে ক্ষোবের সঞ্চার হয়েছে খোয়াই জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অথচ ২৬ শে এপ্রিল ভোট দানের দিন থেকে শুরু করে আগে এবং পরে খোয়াই মহাকুমার সমস্ত সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সাহায্য করেছে এমনকি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ভোট দান পরবকে সুনিশ্চিত করতে এবং পরিস্থিতিকে কিভাবে সুন্দর রাখা যায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সেই বিষয়ে প্রশাসনের সাথে সাংবাদিকরা ও তাল মিলিয়ে কাজ করেছে তাতে করে জেলা শাসক ২৬শে এপ্রিল ভোট দান পর্ব শেষ হবার পর এক সৌজন্য মূলক সাক্ষাতে জেলাশাসক চাঁদনী চন্দ্রনও ও জেলা পুলিশ সুপার রমেশ যাদব সাংবাদিকদের বাহবা জানিয়েছেন সুস্থ নির্বাচনের হওয়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের হাত রয়েছে বলে।আর এই জেলা প্রশাসনই তাদের নির্বাচনের কাজ অর্থাৎ ভোট গ্রহণ এবং ভোট গণনা শেষ হবার পরমুহুর্তে সাংবাদিকদের বৃদ্ধাঙ্গষ্ট দেখিয়ে দিল যেমনটা বলে গাং পেরোলে নাকি মাঝি শালা খোয়াই জেলা প্রশাসনের কারণে সাংবাদিকদের অপদস্থ হতে হল।
বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই।