বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৫ই নভেম্বর.…….সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তীকে সামনে রেখে খোয়াই জেলার উদ্যোগ আগামী ১৮ই নভেম্বর এক ইউনিটি মার্চ রেলির আয়োজন করা হয়েছে। এই ইউনিট মার্চকে সামনে রেখে বুধবার দুপুরে খোয়াই জেলাশাসকের ভিডিও কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের আধিকারিক কমলেন্দু শীল, খোয়াই তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক দিলীপ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৫০ তম জন্মদিন কে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে এই ইউনিটি মার্চের জন্য। মূলত এক ভারত আত্মনির্ভর ভারতের অঙ্গ হিসেবে এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনটি আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি অপর্ণা সিংহ রায়। উক্ত প্রেস মিট এর মাধ্যমে খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায় আগামী ১৮ নভেম্বর সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে কি কি অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছেন তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে গিয়ে বলেন সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। বিশেষ করে ১৮ই নভেম্বর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উনার জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানটিকে পালন করা হবে। বিশেষ করে ঐদিন খোয়াই সুভাষ পার্ক কোহিনুর কমপ্লেক্স সংলগ্ন নেতাজির মূর্তির পাদদেশ থেকে এক ইউনিটি মার্চ রেলির আয়োজন করা হয়েছে যা শেষ হবে খোয়াই থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর চেবরি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর মাঠে। যদিও ১৮ ই নভেম্বরকে সামনে রেখে এর আগেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে থাকছে প্রবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতা, আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে এই রেলিকে কেন্দ্র করে এই ধরনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও থাকছে। এই সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে খোয়াই দশরথদেব মেমোরিয়াল কলেজ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্ররা। এবং তাদের নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন ও করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকছে স্বাস্থ্য শিবির সেগুলো দেখভাল করবেন ভি ডি ও এবং সি এম ও। ১৮ ই নভেম্বর সকালে খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হবে এবং উনার জীবন কাহিনী নিয়ে আলোচনায় সম্মিলিত হবেন সবাই। এরপর সেখানে উপস্থিত যুবকদের সম্মানিত করা হবে। কারণ আজকের যুবকরাই আগামী দিনে ভবিষ্যৎ সে দিক দিয়ে বিচার করে। এরপর শুরু হবে ইউনিটি মার্চ রেলি খোয়াই সুভাষ পার্ক কোহিনূর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ থেকে এই বিশাল দূরত্বের রেলি শুরু হবার পর গনকি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে এসে প্রথম ধাপে সমাপ্ত হবে কিছুক্ষণ বিশ্রামের জন্য। এরপর রেলিটি আবার শুরু হয়ে শেষ হবে অন্তিম পর্যায়ের গন্তব্য চেবরি দ্বাদশ শ্রেণী স্কুলের মাঠে। এই রেলিতে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রত্যেককে খোয়াই ক্রিড়া দফতরের পক্ষ থেকে টি শার্ট এবং টুপি প্রদান করা হবে এই রেলির ড্রেস হিসাবে। খোয়াই জিলা পরিষদের সভাপতি শ্রীমতি অপর্ণা সিংহ রায় এও বলেন প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন আগামী ২০৪৭ এরমধ্যে সমস্ত ভারতকে বিকশিত ভারত হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই স্লোগানকে সামনে রেখেও ঐদিন বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন বিকাশিত ভারতে মহিলারা এগিয়ে আসুক যার জন্য তিনি বহু প্রকল্প চালু করেছেন সেই প্রকল্পের অন্তর্গত দেশের মহিলাদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে অনেক প্রয়াস ও গ্রহণ করেছেন। সেই মহিলারা ঐদিন চেবরি দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল মাঠে তাদের বিভিন্ন স্টলগুলো প্রদর্শন করবেন এবং তাদের হাতে বানানো বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীগুলো প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। এই মেলার স্লোগান হবে ভোকাল ফর লোকাল এরই অঙ্গ হিসেবে সেখানে টেবলুর প্রদর্শন করা হবে। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে জনসমক্ষে প্রচারের জন্য প্রেস মিট এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে আবেদন জানান জিলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি অপর্ণা সিংহ রায়।



