Friday, January 31, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই থানধিন বেলছরা এ ডি সি ভিলেজের ছাত্রাবাসের কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভূয়ো নাম...

খোয়াই থানধিন বেলছরা এ ডি সি ভিলেজের ছাত্রাবাসের কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভূয়ো নাম দেখিয়ে অর্থ নয় ছয়ের দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করলেন মন্ত্রীও।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৭শে জানুয়ারি.…… ভুয়ো নাম দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নয় ছয় করে দেওয়ার কারনে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো খোয়াইয়ের বেলছরা এ ডি সি ভিলেজের দেবেন্দ্র চৌধুরীপাড়া ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের উপজাতি ছাত্রাবাসের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।উপজাতি কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা নিজেই সেই অভিযোগের কথা স্বীকার করলেন।উত্থাপিত অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানালেন মন্ত্রী।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে খোয়াই মহকুমার দেবেন্দ্র চৌধুরী পাড়া ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের উপজাতি ছাত্রাবাসে ভুয়ো ছাত্র সংখ্যা দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল গত কয়েক বছর ধরেই।ছাত্রাবাসটিতে যত সংখ্যক আবাসিক রয়েছে তার মধ্যে ভৃয়ো নামের তালিকা তৈরি করে তার থেকে আরো বেশ কিছু সংখ্যক আবাসিক দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ গায়েব করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। উপজাতি কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা গত সোমবার ছাত্রাবাসটি পরিদর্শনে গিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ খবর করেন।দেখা যায় যে ছাত্রাবাসটিতে মোট আবাসিক রয়েছে একশো জন।কিন্তু একশো পঁচাত্তর জন আবাসিক রয়েছে বলে প্রতিমাসে উপজাতি কল্যান দপ্তর থেকে অতিরিক্ত অর্থ তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।মন্ত্রী ছাত্রাবাসের রেজিস্টার সহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্রের খোঁজ করেন।কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই সব রেকর্ডপত্র ও প্রতিমাসে দায়ের করা বিলের কপি মন্ত্রীকে দেখাতে পারেনি বলে শোনা গেছে।স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রাবাসের অন্যান্য কর্মীরা জানান যে, ছাত্রাবাসের সুপার নাকি ছুটিতে রয়েছেন।তাই মন্ত্রী আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তলব করেও তা পাননি।এই সম্পর্কে উপজাতি কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নিজেও অভিযোগের কথা স্বীকার করেন।তিনি জানান যে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।উপজাতি কল্যান দপ্তরের অধিকর্তা সহ অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরকে অভিযোগের তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য যে বিভিন্ন স্কুলের উপজাতি ছাত্রাবাসে একজন আবাসিক ছাত্রের জন্য দৈনিক আশি টাকা বরাদ্দ করা রয়েছে।সেই হিসেবে প্রতিমাসে একজন আবাসিক ছাত্রের জন্য বরাদ্দ করা অর্থের পরিমাণ হলো দুই হাজার চারশো টাকা করে।দেবেন্দ্র চৌধুরী পাড়া ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের উপজাতি ছাত্রাবাসে পঁচাত্তর জন আবাসিক বেশী দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই হিসেবে দৈনিক ছয় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ দেখানো হচ্ছে।অর্থাৎ প্রতিমাসে এক লক্ষ আশি হাজার টাকার অতিরিক্ত অর্থ খরচ দেখানো হচ্ছে।কবে থেকে ভুয়ো নামের তালিকা তৈরি করে অতিরিক্ত আবাসিক দেখিয়ে বাড়তি টাকা খরচ দেখানো হচ্ছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।দেবেন্দ্র চৌধুরী পাড়া ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের উপজাতি ছাত্রাবাসের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সম্পর্কে তদন্তক্রমে উপজাতি কল্যান দপ্তর ছাত্রাবাসের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে এখন সেটাই দেখার।দিনের পর দিন ধরে একটি স্কুলের উপজাতি ছাত্রাবাসে এই ধরনের দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ উঠছে।অথচ তা উপজাতি কল্যান দপ্তর তা জানেনা! এখানেই উঠছে প্রশ্ন।সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি সত্যিই কি কুম্ভ নিদ্রায় নাকি! উপজাতি কল্যান দপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক সহ কর্মীদেরও এই ঘটনায় যোগসাজশ রয়েছে বলে জানাযায়।এটাই জিজ্ঞাসা সকলের।দপ্তরের একাংশে হলেও আধিকারিক সহ কর্মীদের যোগসাজশ ছাড়া এই ধরনের দুর্নীতি কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে অভিমত বিভিন্ন অভিগ্গ মহলের। এই বিষয়ে মন্ত্রী কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × 5 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য