বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৩১ শে আগস্ট… শনিবার দুপুরে খোয়াই বাসী এক অন্যরকম দৃশ্য দেখতে পেল ।যে জনগণের পয়সায় মোট বেতন পাওয়ার ট্রাফিক পুলিশ বাবুদের দেখা নেই ভিড় সামলাতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন এক সাধারণ নাগরিক । একেই বলে জন সচেতনতা। সমাজ সেবার সদ ইচ্ছা থাকলে তা যে কোনো কারণে যে কোনো জায়গায় করা যায়। তেমনই এক কাজ করে দেখাচ্ছন এক ব্যক্তি ট্রাফিক দপ্তরের কাজ নিজ হাতে তুলে নিয়ে জনগণের সুবিধার্থে শনিবার দুপুরে । খোয়াই সুভাষ পার্ক এলাকায় চলছে সাতদিন ব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান। শুরু হয়েছিল গত সোমবার থেকে চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত । জন্মাষ্টমী উৎসব কে কেন্দ্র করে খোয়াই শহরে ব্যাপক পরিমাণে ভিড় জমে । জন্মাষ্টমী উৎসব হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড় মেলা রাজ্যের মধ্যে ।এই মেলা কে কেন্দ্র করে ভির জমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। এমনকি রাজ্য সহ বহিরাজের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্রেতারা এই মেলাতে আসে তাদের বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করার উদ্দেশ্যে । আর এই মেলা কে কেন্দ্র করে প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় জমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত । অথচ এই মেলার ভিড়কে সামলানোর জন্য মহকুমা পুলিশের ট্রাফিক দপ্তর এবং খোয়াই পুর পরিষদের ট্রাফিক ভলেন্টিয়ারদের উপর এই কাজ নেস্ত ছিল । কিন্তু দেখা গেছে দিনের বেলায় তাদের কোন পাত্তাই পাওয়া যায়না ।সেই জায়গায় দাড়িয়ে এক ব্যক্তি জন্মাষ্টমী মন্দির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে জনগণের সুবিধার্থে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নিজ হাতে নিয়ে সুন্দরভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে পথ চালিত মানুষ ও যানবাহন এই মন্দির প্রাঙ্গনে ভির না জমায় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে । গত চারদিন ধরে টানা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্লস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন খোয়াই চেবরি বাসন্তী টিলা এলাকার বাসিন্দা ফুল কুমার দেবনাথ । কেন এই কাজ করছেন জানতে চাইলে ফুল কুমার দেবনাথ বলেন ট্রাফিক বাবুদের পাত্তা নেই তাই খোয়াই বাসির স্বার্থে শ্রীকৃষ্ণ মন্দির কমিটির নির্দেশে জনসেবায় এই কাজ করে চলেছেন তিনি । ওরা আসবে সন্ধ্যার পর মন্দির কমিটি থেকে টিফিন খাবে তারপর তারা কাজে লাগবে । অন্যদিকে দীন থেকে রাত পর্যন্ত প্রচন্ড ভিড় হয় মন্দির প্রাঙ্গণে ।মানুষের যাতায়াত বিভিন্ন যানবাহনের ভিত জমে যায় মন্দির প্রাঙ্গণে তাতে অনেকের অসুবিধা হয় । তা যাতে না হয় তার জন্য মন্দির কমিটি থেকে উনাকে বলা হয়েছে বিষয়টি দেখার জন্য । আর তাতেই তিনি সমস্ত ট্রাফিকের দায়িত্বটা নিজের কাঁধে নিয়েছেন। যা এক আশ্চর্য জনক ঘটনা খোয়াইতে ট্রাফিক ইউনিট এবং খোয়াই পুর পরিষদের ট্রাফিক ভলেন্টিয়ার থাকা সত্ত্বেও একজন সাধারন মানুষকে ট্রাফিকের দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে যা খোয়াই ট্রাফিক ইউনিটের জন্য খুবই লজ্জাজনক বিষয় । যদিও ওনার এই কাজে অনেকেই প্রশংসা করেছেন বা করছেন । কারণ উনার কারণেই মন্দির প্রাঙ্গনে ভিড় জমছে না এমনকি পথচারিত মানুষদেরকেও রাস্তার ফুটপাত ধরে চলাচলের পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে তাদের কোন বিপত্তি না ঘটে । এই প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে একাই জন্মাষ্টমী মন্দির প্রাঙ্গনে ট্রাফিক ইউনিটের দায়িত্ব পালন করছেন এক সাধারণ ব্যক্তি ফুলকুমার দেবনাথ ।অন্যদিকে সরকারি ট্রাফিক ইউনিট নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে সন্ধ্যের পর বেরোবে বাইক চেকিং এর নামে কিছু পয়সা আদায় করা যায় কিনা মেলাকে কেন্দ্র করে খরচাপাতি করার জন্য এমনটাই বক্তব্য অনেকের ।