বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৩শে আগস্ট …… গত চার দিন লাগাতোর বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবের পর রাজ্যের পরিস্থিতিটা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়াতে সাধারণ জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে ।এরপরও এই ভয়া বহ বন্যার তাণ্ডবের ভয় সাধারণ জনগনের মুখে তার স্পষ্ট ছাপ এখনো রয়ে গেছে ।তারা চাইছে সেই দিনগুলি ভুলে গিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে আর তাই করছে । এই বন্যার তান্ডবের রাজ্য জুড়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে যার কোন কুল কিনারা নেই ।এই বন্যার ফলে খোয়াই মহকুমা জুড়ে শতাধিক মানুষ ঘট ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। অন্যদিকে এই বন্যার ফলে খোয়াই মহাকুমার বিস্তীর্ণ বিভিন্ন ধরনের কৃষি জমির অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে । সমস্ত কৃষি ব্যবস্থাটাই বন্যার পলিমাটির তলে চাপা পড়ে যাওয়ার ফলে আজ মহকুমার কৃষকরা সবদিক দিয়ে সর্বস্বান্ত এক কথায় তারা বর্তমানে পথের ভিখারি । তাদের উৎপাদিত ফসলের কোন কিছুই না তুলতে পারবে না বিক্রি করতে পারবে সব জলের কারণে পচে নষ্ট হয়ে গেছে । আর অন্যদিকে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে থাকা লোকেরা নিজ নিজ বাড়ি ঘরে দিকে যাচ্ছেন আবার ত্রাণ শিবিরে ফিরেও আসছেন ওরা ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি গিয়ে বাড়িতে জমে থাকা বন্যার ফলে পলি মাটির কয়েক ফুট উঁচু স্তর গুলিকে সারাদিনে পরিষ্কার করছেন এরপর আবার ফিরে আসছেন ত্রাণ শিবিরে ।যদিও খোয়াই মহাকুমার অনেকগুলি ত্রাণ শিবির এখনো খোলা রয়েছে তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে । অন্যদিকে এমন এলাকা আছে যারা বাড়িঘরে আর ফিরতে পারছে না এখনো তাদের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খাবারদাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । তেমনি ভাবে খোয়াই পশ্চিম গনকি গাঁও সভার তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় ৫০০ জন লোককে খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম গনকি গাউসভার শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে পহরমুরা স্থিত গুদারাঘাট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পশ্চিম গনকি গাঁও সভার তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ শতাধিক লোককে শুক্রবার দুপুরে ডাল ভাত শীদল চাটনি ও ডিম দিয়ে তাদেরকে খাওয়ানো হয় এই খাওয়ার ব্যবস্থাটা সম্পূর্ণ করেছে পশ্চিম গনকি গাউসভার শক্তি কেন্দ্রের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে ওই শক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রণব বসু বলেন বন্যার পরিস্থিতিতে যারা এখনো বাড়ি ঘরে যেতে পারেনি এবং বাড়ি ঘরের যাওয়ার মতন এখনো সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি সেই সমস্ত লোকদের বিশেষ করে যারা পহরমপুরা এলাকায় শরণার্থী শিবিরে রয়েছে তাদেরকে শুক্রবার দুপুরে ডাল ভাত ডিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে । যতদিন পর্যন্ত ওরা বাড়িঘরে না যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি সঠিক হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা চেষ্টা করবে তাদেরকে খাওয়ার জন্য তবে তিনি আশাবাদী আগামী এক দু দিনের মধ্যে সমস্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন ।