তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
তেলিয়ামুড়া মহকুমার জনবসতি এলাকায় বন্য দাতাল হাতির আক্রমণের সমস্যা দূরীকরণে সম্পূর্ণই ব্যর্থ তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর! এখন আবার পুরনো ক্যাসেট বাজাতে ময়দানে বন দপ্তরের কর্তা বাবুরা। প্রায় এক বছর পূর্বে সরকারি অর্থের আদ্য শ্রাদ্ধ করে হাতির গলায় রেডিও কলার লাগানোর ব্যর্থ উদ্যোগ’কে হাতিয়ার করে আবারো ময়দানে বনদপ্তর। হাতির গলায় রেডিও কলার লাগানো শুরু বনদপ্তরের। বন্য হাতি মতিকে রেডিও কলার পরানোর অভিযানে নামল বনদপ্তর। আদৌ এই অভিযান কতটা সফলতা আনবে সেটা সময় সাপেক্ষ প্রমাণিত হবে।
তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দাবী চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। বিগত দিনে তেলিয়ামুড়া মহকুমার উত্তর মহারানী, কপালি বস্তি সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে। নষ্ট হয়েছে মানুষের বাড়িঘর সহ ফসল ইত্যাদি। এর থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন রাস্তা অবরোধ, ডেপুটেশন দেওয়া হয় এলাকাবাসীর তরফ থেকে। সরকারি ভাবেও প্রতিবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এর বিরুদ্ধে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
শেষে রবিবার হাতির আক্রমণ থেকে মানুষকে নিস্তার দিতে প্রায় বছর পুরনো ব্যর্থ উদ্যোগ পুনরায় নিতে দেখা গেল দপ্তর’কে। হাতির দলের মধ্যে বেশি আক্রমনাত্মক মতি নামের একটি হাতি রয়েছে। এই মতির আক্রমণের স্বীকার হয়ে প্রাণ হানীও হয়েছে বলে খবর। এই আক্রমণাত্মক মতিকে রেডিও কলার পরানোর অভিযানে নামে ববনদপ্তরের এক বিশাল টিম। বলে রাখা ভালো, প্রায় বছর পূর্বে এই ধরনের এক অভিযানের মধ্য দিয়ে একটি হাতির মধ্যে রেডিও কলার লাগানো হয়েছিল এবং একটি হাতিতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায় এই অভিযান। আবার প্রায় বছর পর রেডিও কলার লাগানোর মনোভাবের সঞ্চার বন দপ্তরের কর্তাবাবুদের মধ্যে। সেটা কি লোক দেখানো, নাকি বাস্তবেই এই বছর পুরনো ব্যর্থ উদ্যোগকে পুনর্জীবিত করে হাতির আক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে; এইটা বলা যাবে শুধুমাত্র সঠিক সময়ে। আঠারমুড়া জংগল থেকে শুরু করে, ডি এম কলোনি, উত্তর মহারাণীপুর সহ বিস্তির্ণ এলাকায় এই টিম চসে বেরাচ্ছে মতিকে রেডিও কলার পরানোর জন্য। রবিবার ভোর থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। যতক্ষন না পর্যন্ত এ কাজ সফল হয় ততক্ষন চলবে তাদের এই অভিযান বলে জানান বন দপ্তরের আধিকারিক সহ অভিযানের প্রতিনিধিগন। এদিনের এই অভিযানে রয়েছেন ডাঃ কৌশল কানওয়ার শর্মা/ পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত, ডিন, ভেটেরিনারি কলেজ, আসম,ডাঃ আর কে সামল,আইএফএস
প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন, ত্রিপুরা বনদপ্তর,
ডঃ অক্ষয় বোরদে আই এফ এস, খোয়াই জেলা বন আধিকারিক সহ অন্যান্যরা। তবে যাই হোক যদি বনদপ্তরের এই অভিযান সফল প্রমাণিত না হয় তাহলে আবারো মোটা অংকের সরকারি অর্থের আদ্য শ্রাদ্ধ যে ১০০% নিশ্চিত সেটা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না।।