খোয়াই প্রতিনিধি ২৭শে ডিসেম্বর….রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর, মৎস্য দপ্তর ও এস সি দপ্তরকে নিয়ে খোয়াই জেলা ভিত্তিক বুধবার দুপুরে খোয়াই জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে এক রিভিউ মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়।উক্ত দপ্তর গুলি হল এ আর ডি ,ফিশারি এবং এস সি এস দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে এই দিন রিভিউ মিটিং করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস।এই রিভিউ মিটিং এ মন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা সহ সভাপতি হরিশংকর পাল,অতিরিক্ত জেলাশাসক কেশব কর,খোয়াই এর বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, রামচন্দ্র ঘাটের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা,এ আর ডি দপ্তরের আধিকারিক কে এন চঞ্চল,খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা,এল ডি এম সুব্রত মন্ডল সহ জেলার অন্যান্য দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।রিভিউ মিটিং এর শুরুতে এক সাক্ষাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন খোয়াই জেলার অন্তর্গত এ আর ডি,মৎস্য দপ্তর ও এস সি এস এই তিন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে জেলাভিত্তিক দ্বিতীয় পর্যায়ের রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।গত কিছুদিন আগে প্রথম পর্যায়ে রিভিউ মিটিং শেষ হয়ে গেছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের মিটিং শুরু হতে চলেছে এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রথম রিভিউ মিটিং এ খোয়াই জেলাকে যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল বিশেষ করে এ আর ডি এবং মৎস দপ্তরকে সেখানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা ডিম ,দুধ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা গুলিকেও ঐসব কাজের সাথে যোগ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।এছাড়া রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যেসব প্রকল্প গুলি রয়েছে তার মধ্যে তফসিলি জাতিভুক্ত মানুষদের আয় উন্নতির জন্য কতটুক কাজ হয়েছে সেই গুলি বিচার-বিশ্লেষণ করা পাশাপাশি চলতি বছরের মধ্যে তাদের জন্য যতটুকু কাজ হবার কথা ছিল ওই কাজ গুলি কতদূর হয়েছে ঐইসব বিষয় গুলোকে নিয়ে দিনভর রিভিউ মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।মন্ত্রী সুধাংশু দাস এও বলেন এই মিটিং এর মূল বিষয় হচ্ছে উক্ত তিন দপ্তর কে কাজে লাগিয়ে গ্রামীন অংশের মানুষদের জন্য তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানের উন্নয়ন করাই মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্য সরকারের।এবং রাজ্য সরকারের ফিশারি এবং এ আর ডি ডি দপ্তর কে কাজে লাগিয়ে মাছ, মাংস, ডিমের উৎপাদনকে বৃদ্ধি করা এবং অপরদিকে যারা বেকার যুবক যুবতীরা রয়েছে তাদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটাই মূল উদ্দেশ্য এবং গোল রাজ্য সরকারের।আর ওটাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং এর উপর ভিত্তি করে রিভিউ মিটিং করা হচ্ছে পয়েন্ট টু পয়েন্ট অনুসারে একে একে প্রত্যেক দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে সারাদিন ।এবং এই বিষয়ের উপর খোয়াই জেলাতে যাতে একটি ভালো ফলা ফল তৈরি হয় এর জন্য একটি টার্গেট ঠিক করা হবে বলে জানান মন্ত্রী সুধাংশু দাস। রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রতিটা জনগণের অর্থনীতি এবং সামাজিক মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা গুলি গ্রহণ করছেন সেটি প্রশংসনীয়। রাজ্য সরকার তথা কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন দপ্তরের মধ্য দিয়ে জনগণে উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও লক্ষ্য করা যায় কিছু কিছু দপ্তরের কর্ম কর্তাদের খাম খেয়ালী পনার জন্য সরকারি প্রকল্প গুলি মুখ থুবড়ে পড়ছে। সরকারি প্রকল্প গুলি জনহীতে বাস্তবায়ন রূপ ধারণ করার জন্য দপ্তরের কর্ম কর্তাদের আরেকটু সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন খোয়াইয়ের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ।এছাড়া এই মিটিং এরশুরুতে একটি দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় মিটিং এ উপস্থিত দুই বিধায়ক যথা খোয়াইয়ের নির্মল বিশ্বাস এবং রামচন্দ্র ঘাটের রঞ্জিত দেববর্মা সহ খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মার মধ্যে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা চলতে থাকে বিশেষ করে ওই ব্যক্তি রাই এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে কাজ গুলিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তার আদান-প্রদান করেন।এছাড়া এখানে রামচন্দ্র ঘাটের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার মনে ক্ষোভ ছিল যে উনাকে সরকারি কোন অনুষ্ঠানে বিধায়ক হিসেবে আমন্ত্রণ বা নিমন্ত্রণ করা হয় না আর যাকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে খোয়াই পদ্মবিল ব্লকের ভিডিও কে অন্যত্র বদলি করার জন্য পদ্মবিল এলাকায় পথ অবরোধে বসেছিলেন রঞ্জিত দেববর্মা এবং সেখানেই তিনি সেই মনের ক্ষোবের কথা ব্যক্ত করেছিলেন সাংবাদিকদের কাছে।যদিও বুধবার দুপুরে খোয়াই জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে রিভিউ মিটিংয়ে আমন্ত্রত পেয়ে এবং উপস্থিত হয়ে মনের সেই ক্ষোভটা দূর হয়ে গেছে যা উনার চেহারায় স্পষ্ট প্রকাশ হতে দেখা গেছে ।যার ফলে তিনি মিটিং এর শুরুতে সাবলীল ভাবে আলোচনা এবং রিভিউ মিটিং এর মধ্যে দিয়ে নিজ এলাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু তথ্যমূলক আলোচনা করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাসের সাথে।