কল্যাণপুর ডিসিএম কার্যালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে খিপ্রতার সাথেই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আসে কিন্তু তার পরেও এরকমভাবে ডিসিএম অফিসের মত গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায় গোটা কল্যাণপুর জুড়ে ব্যাপক উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে কর্মরত জনৈক কর্মী দাবি করেছেন তিনি যখন আজ সকালে যথারীতি dcm কার্যালয়ের দরজা খুলেন, তখন দেখতে পান ভেতরে আগুন জ্বলছে, তখন কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পৌঁছে দেওয়া হয় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের কাছে। এরপর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । এরই ফাকে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের বেশ কিছু কাগজপত্র সহ একটা কম্পিউটারের সিপিইউ সম্পূর্ণ পুড়ে যায় বলে জানা গেছে। আপাতত কি কি কাগজ পোড়া গেছে বা কি কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সম্পূর্ণ হিসেব সামনে না আসলেও অনুমান করা যাচ্ছে বেশ কিছু দরকারি কাগজপত্র এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে পুড়া যেতে পারে এবং সবচেয়ে বেশি যেটা কম্পিউটার পুড়া গেছে সেই বিষয়টার মধ্য দিয়ে dcm কার্যালয়ের অনেক নথি পুড়া যেতে পারে বলে অনেকে ধারণা পোষণ করছেন।
এদিকে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা সরাসরি দাবি করেন অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অর্থাৎ dcm কার্যালয়ে ছুটে আসতে যথেষ্ট ব্যাগ পেতে হয়েছে, কারণ রাস্তার দুই ধারে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য এবং রাস্তার উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনসহ কেবল লাইনের জন্য তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তেলিয়ামুড়ার মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী নিজেও বলে জানা গেছে।