Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদরবিবার সন্ধ্যায় খোয়াই নতুন টাউন হলে পালিত হল সমাজ কল্যাণ ও সমাজ...

রবিবার সন্ধ্যায় খোয়াই নতুন টাউন হলে পালিত হল সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর এবং তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব প্রবীণ দিবস এবং শচীন দেব বর্মনের ১১৭ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান।

খোয়াই প্রতিনিধি ২শরা অক্টোবরর…..রবিবার সন্ধে সাত ঘটিকায় খোয়াই নতুন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর এবং তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এবং খোয়াই কালচারাল সেল এর সার্বিক সহযোগিতায় মহকুমার প্রবীণ নাগরিক বৃন্দদের নিয়ে পালিত হল বিশ্ব প্রবীণ দিবস এবং শচীন দেব বর্মনের ১১৭ তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান। এই দিন অনুষ্ঠানেরমঞ্চে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিংকু ভট্টাচার্য, খোয়াই মহকুমা শাসক বিজয় সিনহা,সাংস্কৃতিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত বীর সিংহ, খোয়াই তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারি বিশ্বজিৎ বণিক, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারী সুজিত দাস,,বিশিষ্ট আইনজীবী দেবাশীষ দেবনাথ সহ অন্যান্যরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা ।এরপর শচীনদেব বর্মনের প্রতিকৃতিতে উপস্থিত অতিথিরা পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন।তখন একটি উদ্বোধনী সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এই উদ্বোধনী সঙ্গীত যারা পরিবেশন করলেন তারা হলেন তেলিয়ামুরা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মরত তিনজন কর্মী, যেহেতু শচীন কর্তার ১১৭ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে সেহেতু উদ্বোধনী সংগীতটি শচীন কর্তার রচিত একটি সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আর দেখা গেছে শচীন কর্তার অধিকাংশ গান পল্লীগীতি ও ভাটিয়ালি হওয়াতে ওই সব গানে সাথে বাঁশির ব্যবহার করে থাকতেন সচীন করতা। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মী খোয়াই জেলার অন্তর্গত মোহর ছড়ার নিবাসী ভজন চন্দ্র দাস বাঁশি বাজিয়েছেন সংগীত শিল্পী টিনা দেবনাথের সাথে ।এত সুন্দর বাঁশি বাজিয়েছেন ভজন বাবু যে বাশির সুর গানের তাল লয়ের সাথে একেবারে সঠিক ছিল তা দর্শকদের হাততালির মাধ্যমে উপলব্ধি করা গেছে।তবে সকলের নজরের অলক্ষে সাংবাদিকদের চোখে ধরা পড়ে একটি বিষয় যে ষাটের ঘরে ছুই ছুই বাঁশি বাদক ভজন দাসের বয়স ।এই কারণে বিষয়টি চোখে পড়ে হয়তো কোন এক কারণ বশত ভজন বাবুর বাম হাতের কব্জির পর একটি ও আঙ্গুল নেই।অথচ বাঁশি বাজাতে গেলে বাঁশিতে ছয়টি ফুটো রয়েছে যার মধ্য থেকে সুর বের হয় ছয়টি আঙ্গুলের ব্যবহার করার ফলে। অথচ সৃষ্টিকর্তার কি অবদান ভজন বাবুর বাম হাতের একটি আঙ্গুল ও না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ডান হাতের তিন আঙ্গুল দিয়ে সুর ,তাল লয় সবকিছু ঠিক রেখে সাবলীল ভাবে সুন্দর ও শ্রুতি মধুর বাশির সুরে সংগীতশিল্পী টিনা দেবনাথ এর সাথে সংগত দিয়েছেন তাতে উপস্থিত অতিথিরা এবং দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিলেন সত্যিই যা ছিল এক বিরল দৃশ্য। এরপর অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা শচীন কর্তার জীবনী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তিনি বলবার চেষ্টা করেন এই মহান ব্যক্তিত্ব ত্রিপুরা, ভারতবর্ষে সহ দেশের বাইরে সংগীত জগতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য গর্বের বিষয় এবং শ্রদ্ধাবান ব্যক্তি।এবং ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য তো খুবই গর্বের বিষয় যা বলার অপেক্ষা রাখে না। উনার সাংস্কৃতিক চর্চা সারা ভারতবর্ষ সহ ত্রিপুরাকে ও অন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে ।তাছাড়া পরবর্তী আলোচনাতে প্রবীণ নাগরিকদের নিয়েও তিনি দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। তাছাড়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা শচীন কর্তা এবং প্রবীণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা নিয়েও আলোচনা করেন এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা করেছেন সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারী সুজিত দাস প্রবীণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা এই বয়সে অনেকটাই যে অবহেলিত সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং বলেন প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান করা আমাদের খুবই দরকার ।এক সময় উনারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছে বর্তমানে তারা বয়সের কারনে ভারাক্রান্ত এবং আমাদের সমাজের প্রবীণ ব্যক্তি।দেখা গেছে প্রায় সময়ই তারা নিজ নিজ বাড়ি ঘরে এবং সমাজে অবহেলিত হয় তা যাতে না হয় সেদিকে আমাদেরই খেয়াল রাখতে হবে এবং তাদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের কর্তব্য।পাশাপাশি তাদেরকে বিভিন্ন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদেরকে সুবিচার পাইয়া দেবার ব্যবস্থাও রয়েছে সেই দিক দিয়েও খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে।শেষে এই অনুষ্ঠানের সভাপতি খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা প্রবীণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তাছাড়া শচীন কর্তার জীবনী নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে থেকে যারা সমাজের জন্য সামাজিক মূলক কাজ করেছেন এমন তিন জনকে অনুষ্ঠানের মঞ্চের অতিথিরা পাঁচ হাজার টাকা চেক হাতে তুলে দেন।এরপর এই অনুষ্ঠানের সভাপতি দেবাশীষ নাথ শর্মা অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষ করেন পরবর্তীতে খোয়াই,,কল্যাণপুর ও তেলিয়ামুড়ার বিশিষ্ট শিল্পীরা কুমার শচীন দেব বর্মনের রচিত বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন ।দেখা গেছে সব মিলিয়ে এই দিন খোয়াই নতুন টাউন হলের অনুষ্ঠানটি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে তাতে হলে উপস্থিত প্রবীণরা মুগ্ধ হয়েঅনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন কারণ সেখানে সচিনকর্তার গান বলে কথা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

thirteen + 8 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য