Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদসন্ধ্যা রাতে খোয়াই থানা ধিন লালটিলা বাজারে এক ওষুধের দোকানে তোল্লা আদায়...

সন্ধ্যা রাতে খোয়াই থানা ধিন লালটিলা বাজারে এক ওষুধের দোকানে তোল্লা আদায় করতে গিয়ে জনতার হাতে উচ্চ মধ্যম খেলেন এক ড্রাগ ইন্সপেক্টর

কথায় বলে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু এই উপমাটি বাস্তবিত হলো। সন্ধ্যায় আনুমানিক সাতটা নাগাদ খোয়াই লালটিলা বাজারে স্বাস্থ্য দপ্তরের ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস লালটিলা গ্রামীণ এলাকার ঔষধের দোকানে যান। ঘটনার বিবরণে জানা যায় লালটিলা বাজারে অল্প কিছু সংখ্যক ঔষধ নিয়ে ব্যবসা করেন যতনশীল নামে এক যুবক। গত কিছুদিন আগেও এই দোকানের মালিক যতীন্দ্র শীল এর কাছে অল্প কিছু সংখ্যক মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়াতে যতন শীলের কাছ থেকে ওই ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস হুমকি ধামকিও পুলিশের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা আদায় করে নিয়ে আসে। ঠিক সেই রকম লোভে আবার ঐ ওষুধের দোকানে প্রবেশ করে সুব্রত দাস শুক্রবার সন্ধ্যায়। এতে এলাকার জনগণ অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়ে যায় এলাকার জনগণের অভিযোগ এই ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস কিছু দিন পর পর কেন একই দোকানে শুধু আসেন অন্য কোনো ওষুধের দোকানে যায় না কেন তদারকি করতে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে লালটিলা বাজারের জনগণ ড্রাগ ইন্সপেক্টরকে ঘেরাও করে। জনগণের ঘেরাও থেকে বাঁচতে এই লালটিলা বাজার থেকে দ্রুত ভাড়া করা একটি ওয়াগনার গতিতে চেপে পালিয়ে যাবার সময় রাস্তার মধ্যে আশীষ সূত্রধর ও সুমন ঘোষ নামে দুই বাইক আরোহীকে ধাক্কা দেয়, এতে সুমন ঘোষ এর মাথা ফেটে যায় এবং আশিস সূত্রধরের চোখে এবং ডান হাতে আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। আহত আসিস এবং সুমন ফোন করে উত্তর রামচন্দ্র ঘাট এলাকার এক ব্যক্তিকে বলেন য়ে TRO1BNO661 নাম্বারের এই গাড়িটি তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে সেই গাড়িটিকে যাতে আটক করা হয়। কিন্তু তখন উত্তর রামচন্দ্র ঘাট এলাকাতে ড্রাগইন্সপেক্টর এর গাড়ি এসে এক বাস গাড়ির পেছনে পড়াতে এমনিতেই থেমে যায় এবং পেছন পেছন সুমন এবং আসিস গিয়ে বলেন এই গাড়িটি তাদেরকে ধাক্কা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনতা রক্তাক্ত আশিস এবং সুমনকে দেখে উত্তপ্ত হয়ে জনগণ ব্যাপক হারে রাম ধুলাই প্রদান করে তোল্লা আদায়কারী ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস কে। এর মধ্যে ড্রাগন্সপেক্টর এই এলাকার স্থানীয় নেতৃত্ব তথা রামচন্দ্র ঘাট যুব মোর্চার সভাপতি রূপক ঘোষ মহাশয়কে দেখে উনার শরণাপন্ন হওয়াতে যুব মোর্চার সভাপতি রুপক ঘোষ কোনরকম ভাবে উত্তেজিত জনতার হাত ড্রাগ ইন্সপেক্টর কে বাঁচিয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য । যদিও ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত বাবু অন্য কীর্তন গেয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছেন বলে অনেকেরই মন্তব্য এবং খোয়াই থানায় ঘটনাটি জানিয়ে জান।এদিকে খোয়াইয়ের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের প্রশ্ন হল ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস কি কারনে রাত্রিবেলা লাল টিলা এলাকায় গেলেন আবার উনি বলছেন উনার ডিউটি ২৪ ঘন্টা এবার প্রশ্ন হল রাত্রিকালীন ওনার ডিউটি যদি পালন করতেই হয় তাহলে পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিলেন না কেন রাত্রিকালী সময়ে এবং দপ্তরের গাড়িও উনি নেন নি। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যান।এর থেকেই বোঝা যায় উনি পয়সা নেবার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন রাতের বেলা।সাধারণত ওনাদের ডিউটি সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্তই থাকে উনি বলছেন ২৪ ঘন্টা ডিউটি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।সাধারণত ২৪ ঘন্টার ডিউটি করে পুলিশ এবং অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের লোকেরা তাহলে ড্রাগ ইন্সপেক্টরের ডিউটি সন্ধে পাঁচটার পর কি করে হয় সেই প্রশ্ন উঠছে জনগণের মনে? এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অভিযোগ অবশ্যই বাড়তি কিছু রোজগারের জন্যই নৈশকালীন অভিযান করেন তিনি। এখন দেখার বিষয় গোটা ঘটনাটি পুলিশি তদন্তে কি বেরিয়ে আসে। যদিও সাধারণ জনগণের অভিযোগ জল কখনোই উপরের দিকে উঠে না নিচের দিকেই নেমে আসে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

fifteen − 10 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য