Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদসভ্য সমাজে বর্বরতার নিদর্শন ,হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসিত থাকলেও কাউকে দেখা যায়নি,...

সভ্য সমাজে বর্বরতার নিদর্শন ,হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসিত থাকলেও কাউকে দেখা যায়নি, মৃত্যুর পরেই আত্মীয়-স্বজনদের হাসপাতালে ভিড়

সভ্য সমাজে এক প্রকার বর্বরতার নিদর্শন স্থাপিত হল। হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে দীর্ঘ প্রায় সাত দিন হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসিত থাকলেও পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি, কিন্তু মৃত্যু হওয়ার পরেই আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালে ধীরে ধীরে ভিড় জমাতে শুরু করেন। গোটা ঘটনা ঘিরে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হচ্ছে তবে নেপথ্যে ৫ লক্ষ টাকার কোন কাহিনী নেই তো?
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন গত ২৫ তারিখ তেলিয়ামুড়া থানাধীন বালুছড়ার জুমবাড়িতে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে নিরঞ্জন বিশ্বাসকে স্থানীয় মানুষ খেতের মধ্যে প্রচন্ড আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে খবর দেয়, সংশ্লিষ্ট খবরের ভিত্তিতে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা গুরুতর আহত এবং মুমূর্ষ নিরঞ্জন বাবুকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। যদিও কাকতালীয়ভাবে বন দপ্তর থেকে দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল নিরঞ্জন বিশ্বাসকে নাকি হাতিয়ে কিছু করেনি। কিন্তু নিরঞ্জন বিশ্বাসকে যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল সংশ্লিষ্ট জায়গায় হাতির পায়ের বেশ কিছু চিহ্ন ছিল। যাক পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ৭ দিন এক প্রকার বিনা চিকিৎসাতে হাসপাতালে থেকেছে নিরঞ্জন বিশ্বাস, যদিও তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এক্সরে সহ আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যাপারে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরিবার থেকে কেউ যোগাযোগ না করায় সেই ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বীকারোক্তি থেকে পরিষ্কার একপ্রকার বিনা চিকিৎসাতেই হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন নিরঞ্জন বিশ্বাস। যদিও গতকাল রাতে একটা সময়ে মারা যাওয়ার পর হাসপাতালের তরফ থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়, এরপর পুলিশ উদ্যোগী হয়ে আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিলে এবার হাসপাতালে ভিড় জমাতে শুরু করেন নিরঞ্জন বিশ্বাসের তিন কন্যা সহ অন্যান্য আত্মীয়রা। হাসপাতাল চত্বরেই অনেকে কানা খোশো করছেন যেহেতু হাতির আক্রমণে হয়তো মৃত্যু হয়েছে তাই এক্ষেত্রে নিয়ম অনুসারে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান হয়তোবা নিরঞ্জন বিশ্বাসের পরিবার পেতে পারেন, আর সেই ৫ লক্ষ টাকার গন্ধে মম করতে করতে কি নিরঞ্জন বিশ্বাসের তিন কন্যা সহ অন্যান্য আত্মীয়রা এবার হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন? যেভাবে দীর্ঘ প্রায় সাত দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় অনাদরে মৃত্যু হয়েছে নিরঞ্জন বিশ্বাসের সেই নিরিখে এই প্রশ্ন ওঠা কিন্তু একেবারেই অবান্তর নয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twenty + 13 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য