গত এক পক্ষকাল আগে প্রচন্ড দাবদাহ রাজ্যবাসী যখন হাঁসফাঁস করছিল একটু বৃষ্টির আশায় যদিও তাদের সেই আশা পূরণ হয়েছিল কিন্তু এর পাশাপাশি আশার গুড়ে বালি পড়ে যায় শিলাবৃষ্টির কারণে। এই শিলা বৃষ্টির কারণে খোয়াই মহকুমা জুড়ে মানুষের বাড়ি ঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় একেই বলে কারোর ভাদ্র মাস কারোর বৈশাখ মাস এই বৈশাখ মাসেই শিলা বৃষ্টিতে মানুষের বাড়ি ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়। দেখা গেছে গত ২১ এপ্রিল দুপুর নাগাদ খোয়াই মহকুমা জুড়ে ঝড় তুফানের সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে বড় বড় শিলাবৃষ্টি শুরুহয়। খোয়াই মহকুমা জুড়ে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের বসত বাড়ি সহ বিভিন্ন ঘরের টিনের চাল ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক কথায় টিনের ছাউনি ফুটো হয়ে গেছে শিলাবৃষ্টির কারণে। এতে করে সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে গেছে কিভাবে বসত ঘর মেরামত করবে। সমস্ত খোয়াই মহকুমা জুড়ে প্রায় অধিকাংশ ঘরবাড়ি র টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে কিছু একটা ব্যবস্থা করবে বলে গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রশাসনের উপর ভরসা রেখে থাকতে পারছে না কারণ যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে বৃষ্টির জল টিনের ছাউনি গড়িয়ে ঘরে প্রবেশ করবে, তাই বসত ঘর মেরামত করার জন্য জনগণ তড়িঘড়ি নতুন টিন ক্রয় করে ঘরের মেরামত করার তোড়জোর শুরু করেছে। আর এই সুযোগে খোয়াই এর একাংশ নয় সবকটিই টিন বিক্রেতারা সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটার ফন্দি এটে নিয়ে কালোবাজারি শুরু করেদিয়েছে। এ বিষয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সরাসরি অভিযোগ করেছে নির্ধারিত দামে টিন ক্রয় করার কথা বলে কিছু সময় পরে টিন ক্রয় করতে গেলে তাদের কাছ থেকে হাজার পনেরশো টাকা বেশি দাম নিচ্ছে প্রতি একভান টিনে। তাই একটি প্রবাদ বাক্য আছে “কারোর সর্বনাশ আর কারোর নাকি বৈশাখ মাস আর এই বৈশাখ মাসই কাল হয়ে দাঁড়ালো সাধারণ জনগণের আর অপরদিকে ব্যবসায়ীদের জুলুম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর উপর।এতে করে টিন ব্যবসায়ীদের কারণে খোয়াই মহকুমা জুড়ে সাধারণ ক্রেতাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে কিভাবে বসত ঘরে মেরামত করবে সেই চিন্তায় চোখে ঘুম নেই । দেখা গেছে যেখানে সাধারণ টিন তিন হাজার টাকা ভান সেই টিন বর্তমানে প্রত্যেকটি সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি শুরু করে দিয়েছে প্রতি ভানে প্রায় এক থেকে দের হাজার টাকা বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করে নিচ্ছে। যদিও শিলাবৃষ্টির পরে খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী দেবাশীষ নাথ শর্মা শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি সাধারণ জনগণের বাড়ীঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন যদি কোন ব্যবসায়ী বাড়তি মুনাফা আদায় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে বাড়তি মুনাফা রোজগারের চেষ্টা করেন তবে বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে নেওয়া হবে। এর পরও সুযোগ সন্ধানী টিন ব্যবসায়ীরাা প্রশাসনের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ট দেখিয়ে বাড়তি মুনাফার জন্য সাধারণ জনগণের পকেট কাটার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। খোয়াই মহকুমা জুড়ে টিন ব্যবসায়ীদের এহেন আচরণে খোয়াই এর সাধারণ জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এমনিতেই সাধারণ জনগণের মাথায় বাজ পড়েছে শিলাবৃষ্টির কারণে যে কিভাবে বসতঘরের মেরামত করবেন, অন্যদিকে টিনের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ায় মত অবস্থা তৈরি হয়েছে। খোয়াইয়ের আপামোর জনগণ দিশেহারা হয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন যাতে করে অতি দ্রুত সমস্ত ঘটনাটি সরজমিনে তদন্ত করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে জনগণ কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। এখন দেখার বিষয় খোয়াইয়ের প্রশাসন জনগণের স্বার্থে কি পদক্ষেপ নেন কালোবাজারি করা টিন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে খোয়াই বাসি..