ত্রিপুরা রাজ্য প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়ন ও সাধারণ জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন সরকারী সুযোগ সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার আগরতলা গোর্খাবস্তি এলাকার প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস সহ দপ্তরের অধিকর্তা ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। মন্ত্রী দপ্তর পরিচালিত প্রকল্প গুলি কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে দপ্তরের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে তারপর প্রথমবারের মতো পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো এদিন। এই বৈঠকে কিভাবে পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়িত করা হবে, আগের অর্থবছরের যে সকল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল এবং দপ্তরের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তা কতটুকু কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে। রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের ফার্মের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষদের সরকারিভাবে কি কি সহায়তা করা যায় এই বিষয় নিয়েও পর্যালোচনা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে মাছ না এলেও ত্রিপুরা রাজ্যে যে পরিমাণ উৎপাদন হয় তা দিয়ে চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হয়ে যায়। এরপরও কিছু চাহিদা থাকলে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ নিয়ে আসা হয়। বলে বাংলাদেশ থেকে আর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে কিছু কিছু ব্যবসায়ী আমদানি করে থাকেন কারণ বাংলাদেশ কাছে বলে। হবে বাংলাদেশের উপর ত্রিপুরা রাজ্য মাছের জন্য নির্ভর এটা সঠিক নয়। মন্ত্রী আরও জানান গত বছর বন্যার কারণে যে সকল মাছ চাষের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে দপ্তরের তরফে। এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান।