নিজ কন্যা সন্তানকে আনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে স্বামী দেওর এবং শাশুড়ির হাতে আক্রান্ত গৃহবধূ ও তার মা। ঘটনা শনিবার বিকেলে মোহনপুরের বিজয়নগর এলাকায় ঘটনার। বিচার চেয়ে পূর্ব মহিলা থানার দ্বারস্থ হন তারা। কিন্তু পুলিশের কোন সহযোগিতা না পেয়ে পূর্ব থানার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মা এবং মেয়ে ।
যোগেন্দ্রনগর নিবাসী পায়েল শীলের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় মোহনপুরের বিজয়নগরের প্রদীপ বিশ্বাসের। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তানের আগমন ঘটে। ভালোই চলছিল প্রদীপ এবং পায়েলের সংসার ।কিন্তু গত তিন বছর ধরে কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। এই অশান্তির জের ধরে কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন গৃহবধূ পায়েল শীল ।কন্যা সন্তান মাঝেমধ্যে মোহনপুরের বিজয়নগর স্থিত বাড়িতে যেত আসতো। সম্প্রতি প্রদীপ বিশ্বাস যোগেন্দ্রনগর থেকে তার কন্যা সন্তানকে ৩-৪ দিনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যায় ।কিন্তু এরপর থেকে প্রদীপ বিশ্বাস তাঁর স্ত্রীর সাথে সব রকমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ।শনিবার গৃহবধূ পায়েল শীল তার মাকে নিয়ে মোহনপুরের বিজয়নগরে শশুর বাড়িতে কন্যা সন্তানকে নিয়ে আসার জন্য যান ।অভিযোগ ,শশুর বাড়িতে গৃহবধূ পায়েল শীল এবং তার মা পায়েলের স্বামী প্রদীপ বিশ্বাস ,দেওর এবং শাশুড়ির হাতে আক্রান্ত হন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাইতে আক্রান্ত মা এবং মেয়ে শনিবার রাতে পূর্ব মহিলা থানায় আসেন ।কিন্তু পুলিশের কোন সহযোগিতা না পেয়ে থানার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মা এবং মেয়ে ।এদিন গৃহবধূ পায়েল শীল জানান ,অনেকদিন ধরে তার মেয়ের সাথে তার কোন যোগাযোগ হচ্ছে না ।মেয়েকে আনার জন্যই শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।
অসহায় এক গৃহবধূ ও তার মায়ের পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়ে না পাওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায় ।পূর্ব মহিলা থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।