Monday, May 19, 2025
বাড়িখবররাজ্যবন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান

২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ত্রিপুরা রাজ্যের আটটি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিদের বিপর্যয় মোকাবেলা ত্রাণের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা করা হয়। মঙ্গলবার(৬ মে) রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৃষকদের হাতে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, ডক্টরের অধিকর্তা ড. ফনি ভূষণ জমাতিয়া, উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস সহ অন্যান্য। সেদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ জন কৃষককে বসানো হয়। চারা গাছে জল সিঞ্চন এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন উপস্থিত অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, প্রকৃত অর্থে সমাজে কৃষকের গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ অন্যান্য কাজ না করলেও মানুষ চলতে পারে কিন্তু খাবার না খেলে মানুষ বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে না। কৃষক প্রায় একমাত্র খাবার উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। তাই তারা গোটা সমাজকে টিকিয়ে রেখেছেন। মন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের বর্তমান ১৪৪ কোটি জনসংখ্যা রয়েছে এর মধ্যে কৃষি কাজ করছে ২০ কোটি মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। গড়ে মানুষের মধ্যে ১৪ জন কৃষক। ত্রিপুরা রাজ্যে ২২লাখ ২২ হাজার মানুষ রয়েছে এবং এর মধ্যে ৪লাখ ৭২ হাজার কৃষক।

মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকদের গুরুত্বের কথা চিন্তা করে সর্বপ্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের সম্মান প্রদর্শন করেছেন। এর আগে কেউ কৃষিকদের সম্মান করেনি। তাই সমাজে কৃষকদের অবস্থার কথা চিন্তা করে সকলকে কৃষকদের সম্মান জানানো আহবান রাখেন মন্ত্রী। এরপর মন্ত্রী রিমোটের বোতাম চেপে রাজ্যের ২লাখ ১৩হাজার কৃষকদের মধ্যে মোট ৭৯কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্কে সরাসরি চলে যায়। পাশাপাশি এদিন মন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিরা সবুজ পতাকা নেড়ে অত্যাধুনিক তিনটি ভ্রাম্যমান মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষাগারের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। অত্যাধুনিক এই গাড়িগুলির এক একটির দাম ৭৫ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। নতুন এই তিনটি ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা গবেষণাগার গুলির একটি উত্তর জেলায় একটি ঊনকোটি জেলায় এবং একটি দক্ষিণ জেলায় পাঠানো হবে। এছাড়াও আগে থেকে তিনটি ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা গবেষণাগার রয়েছে। আরো পাঁচটি স্থায়ী মৃত্তিকা গবেষণাগার রয়েছে এবং এগুলির প্রধান কেন্দ্র হল রাজধানী আগরতলার এডি নগর এলাকা কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × 4 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য