২৫ -২৬ অর্থ বর্ষের বরাদ্দকৃত বাজেট সঠিকভাবে কার্যকর করতে এবং চলমান প্রকল্প ও স্কিমগুলির কাজে গতি আনতে বুধবার পর্যালোচনা বৈঠক করলো মৎস্য দপ্তর। উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস ।পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের সবকটি মহকুমা এবং জেলা পর্যায়ের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার পর্যালোচনা বৈঠক করলো রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তর ।গোর্খা বস্তিস্হিত মৎস্য দপ্তরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রি সুধাংশু দাস ,দপ্তরের অধিকর্তা সহ বিভিন্ন মহকুমা এবং জেলার আধিকারিকরা ।এই পর্যালোচনা বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে মৎস্য দপ্তরের বরাদ্দকৃত অর্থ রাশি কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় ।পাশাপাশি দপ্তরের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প এবং স্কিম গুলি সঠিকভাবে চালু রাখার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচিত হয় ।এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট কিভাবে রুপায়ন করা হবে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের কাজের খতিয়ান নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। বিগত অর্থ বর্ষে কাজ করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ে বাধা এসেছে এই বাধাগুলি দুরিভূত করার জন্য আধিকারিকদের মতামতের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। মৎস্য মন্ত্রী আরো জানান ,রাজ্যে মাছের ঘাটতি পূরণে আরো কি ধরনের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় সেই বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা বৈঠকে আলোচনা হবে।
মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস আরো জানান ,ইন্দু বাংলা ব্যবসায়িক সম্পর্ক এখনও প্রশাসনিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়নি। তাই বাংলাদেশ থেকে বৈঠকভাবেই রাজ্যে মাছ আসছে ।তবে বাংলাদেশ থেকে কি পরিমান মাছ রাজ্যে আসছে সে সম্পর্কে অবগত নন তিনি। তিনি আরো জানান, বাজার গুলিতে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ মৎস্য দপ্তরের নয় ।সাধারণ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়টি দেখাশোনা করে। তিনি আরো জানান ,দপ্তর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে ।মাছে ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে কিনা সেই বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়া জারি রয়েছে ।মৎস্য মন্ত্রী জানান, মৎস্য দপ্তরের শূন্য পদ পূরণের জন্য অর্থ দপ্তরকে জানানো হয়েছে।