রাজ্যে রক্তের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রয়েছে ।এরপরও যুব সমাজকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসা উচিত ।শুক্রবার আদালত চত্বরে আগরতলা ডিড রাইটার্স এসোসিয়েশনের রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ।70 তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগরতলা ডিড রাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে।
দেখতে দেখতে ৭০ তম বর্ষে পদার্পণ করল আগরতলা ডিডরাইটার্স এসোসিয়েশন। ৭০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার আদালত চত্বরে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে আগরতলা ডিড রাইটার্স এসোসিয়েশন ।এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,ডিড রাইটার্সরা যে কাজ করছেন তা সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনেরই নামান্তর ।জনগণ তাদের জায়গা সম্পত্তির সমস্যা সমাধানে আপনাদের উপর বিশ্বাস রেখেই আপনাদের কাছে আসেন। ডিড রাইটার্স এর কাজে অনেক টেকনিক্যাল দিক রয়েছে ।এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ,রাজ্যের স্বাস্থ্যপরিষেবার উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে মোট 12 টি সরকারি এবং দুটি বেসরকারি মিলিয়ে ১৪ টি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে ।আগামী দিনে ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে ।তিনি জানান ,মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করছে সরকার ।সরকার এমনটাই চায় ।মুখ্যমন্ত্রী জানান ,চাহিদা অনুসারে রাজ্যে প্রতি বছর ৪০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন ।গত অর্থ বর্ষে ৪০ হাজার ইউনিটের উপর রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। জনগণ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন বলেই তা সম্ভব হয়েছে ।তিনি বলেন, এখনো যারা রক্ত দেননি, তারা আজকের এই রক্তদান শিবিরে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীদের কাছ থেকে উৎসাহিত হয়ে রক্তদানে এগিয়ে আসুন। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় কে স্বেচ্ছায় রক্তদানে কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী ।তিনি বলেন ,এতে করে রক্তের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
এই রক্তদান শিবিরে আগরতলা পৌরনিগমের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর জাহ্নবী দাস ,জগন্নাথ জিউ মন্দিরের সম্পাদক ভক্তি কমল মহারাজ, প্রজা পিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকে মমতা বহেন ,আগরতলা ডিড রাইটার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ কুমার পাল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।