১৮ই এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার দিনটি ছিল গুড ফ্রাইডে। খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস মতে এই দিন প্রভু যীশু ক্রুশবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন৷ এই দিনটিকে কেন্দ্র করে রাজ্যেও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুড ফ্রাইডে দিনটি পালন করে থাকেন বিভিন্ন গির্জাতে মুম ধুপকাঠি জ্বালিয়ে ।এই উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ব্যাপ্ঢিস্ট চার্জে এক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ শুক্রবার সকালে প্রার্থনা সভার মধ্য দিয়ে দিনটির সুভারম্ভ হয়৷ এই দিন ধর্মীয় প্রার্থনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর যুবক, যুবতী,বৃদ্ধ ,বনিতারা৷ শেষে গুড ফ্রাইডের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত আলোচনা করেন তাদের ধর্মীয় প্রচারকরা ।গুড ফ্রাইডে মূলত খ্রিষ্টানদের দ্বারা পালিত একটি ধর্মীয় ছুটির দিন৷ খৃষ্টান ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী যিশু খ্রিষ্টের ক্রুস বিদ্ধকরণ, মৃত্যু ও সমাধিস্থ থেকে উনার পুনরুজ্জীবনের স্মরণে সারা বিশ্বে এই উৎসবটি ব্যাপক শ্রদ্ধার সহিত পালিত হয়৷এই পবিত্র সপ্তাহে ইস্টার রবিবারের আগের শুক্রবারে প্যাস্কাল ট্রিডামের অংশ হিসেবে এই উৎসব পালিত হয়৷ যিশুর বিচারের শাস্ত্রীয় বিভিন্ন বিবরণী গুলি থেকে জানা যায় যে উনাকে সম্ভবত শুক্রবারেই ক্রুসবিদ্ধ করা হয়েছিল৷ যদিও তাদের দুটি ভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মতে গুড ফ্রাইডের বছরটি হল ৩৩ খ্রিস্টাব্দ৷ আইজ্যাক নিউটন বাইবেলীয় ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এবং অমাবস্যার তিথি বিচার করে গুড ফ্রাইডের যে প্রকৃত সালটি সেটি নিরুপণ করেছেন সেটি হল ৩৪ খ্রিস্টাব্দ৷ ক্রুসিফিকেশন ডার্কনেস অ্যান্ড একলিপস পদ্ধতি নামে একটি তৃতীয় পদ্ধতি হিসেব করে গুড ফ্রাইডের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ এপ্রিল ৩৩ খ্রিস্টাব্দ৷যাই হোক সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করে শুক্রবার দিনটিকে গুড ফ্রাইডে হিসেবে পালন করে আসছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর।