গরিব অংশের মানুষেরা কম টাকার বিনিময়ে জনঔষধী ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সাল থেকে তার ব্যবস্থা করেছেন এই পর্যন্ত ৭৬৮ টি জেলা প্রায় ১৫ হাজার জনঔষধী কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। শুক্রবার জনঔষধীদিবস উদযাপন উপলক্ষে আগরতলার আইজিএম হাসপাতালে জন ঔষুধী দিবস উদযাপন করা হয়। এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজিব ভট্টাচার্যী , ত্রিপুরা জেলা সদস্য সচিব রাজ্য স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ সমিতি স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। এই দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ রাজিব ভট্টাচার্য বলেন গরিব অংশের মানুষ যাতে জনবসতি ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালেযার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসেবার আড়ালে নেই, বরং এটি একটি বৃহত্তর সামাজিক লক্ষ্যকে সমর্থন করে। তিনি আরও বলেন, “জনঔষধী কেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা শুধু ডাক্তারী ওষুধের খরচ কমিয়ে আনছি না, বরং মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য নাগালের মধ্যে আনাই আমাদের লক্ষ্য।”এছাড়া, অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্যরা জানান, জনগণকে তথ্য প্রদান এবং ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন, যা জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন লক্ষ্য করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এই উদযাপনার অংশ হিসেবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্পের আয়োজন করে। সেখানে সাধারণ মানুষ সহজেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন। অসুস্থতা নাই বা তারা সচেতনভাবে স্বাস্থ্য্যীর জন্য ট্রেনিংও গ্রহণ করতে পারেন। অনুষ্ঠানের শেষে, রাজ্যসভা সাংসদ রাজিব ভট্টাচার্য আরও বলেন, “আমরা প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং আমাদের সরকার এই কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করছে।” বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক উন্নয়নের জন্য আশাবাদী এই উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে, এই প্রত্যাশা করেন সকলেই।