রাজ্য সরকার সব মাতৃভাষার সার্বিক বিকাশ চায়। রবিবার ৪৭ তম ককবরক ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে বললেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ ।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ককবরক ভাষার হরফ দেশীয় ভাষাতেই চালুর পক্ষে সরকার ।তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভাষা বিশেষজ্ঞ কমিটির অভিমতকে সরকার প্রাধান্য দেবে।
রাজ্যের অন্যতম প্রধান সরকারি ভাষা ককবরক। এডিসি প্রশাসনে ককবরক প্রধান ভাষা ।এই ভাষার বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিবছর 19 জানুয়ারি দিনটিকে ককবরক দিবস বা বরফ দিবস হিসেবে পালন করে রাজ্য সরকার। এবছর ৪৭ তম ককবরক দিবস পালিত হচ্ছে ।এই উপলক্ষে রবিবার সকালে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ।আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনগণ চিরাচরিত পোশাকে সজ্জিত হয়ে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন ।এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ। ৪৭তম ককবরক ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজ্যের সকল অংশের জনজাতি এবং রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি ।মন্ত্রী বলেন, ভাষা হলো মাতৃদুগ্ধের মত ।মাতৃ দুগ্ধের যেমন কোন বিকল্প হয় না তেমনি মাতৃভাষারও কোন বিকল্প হয় না । মাতৃভাষা শিশুদের অধিকার ।এই অধিকার নিয়েই শিশুরা স্কুলে যায় ।তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের সকল মাতৃভাষার বিকাশ চান ।রাজ্য সরকার এই লক্ষ্যেই কাজ করে চলছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।
এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান,ককবরক ভাষার হরফ নিয়ে দাবি থাকাটা স্বাভাবিক। যত বেশি দাবি উত্থাপিত হবে তত বেশি চর্চা করার সুযোগ থাকবে। তিনি বলেন দেশের সংবিধান অনুসারে কোন ভাষার হরফ বিদেশি কোন ভাষায় নয় বরং কোন রাষ্ট্রীয় ভাষাতেই চায় সরকার। তবে এই ক্ষেত্রে ভাষা বিশেষজ্ঞ কমিটির অভিমতকে প্রাধান্য দেবে সরকার।এদিন ককবরক ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য রেলিটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকীভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ।৪৭ তম ককবরক ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রবিবার রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।