ককবরক ভাষার বিকাশে সরকার আন্তরিক ।রবিবার ৪৭ তম ককবরক দিবস উদযাপন উপলক্ষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকীভবনে সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ। শিক্ষা দপ্তরের ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা অধিকার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রবিবার ১৯ জানুয়ারি ।৪৭ তম ককবরক দিবস। এই উপলক্ষে ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা অধিকার রবিবার সকালে রাজধানীতে এক বর্ণাঢ্য রেলির আয়োজন করে ।এই রেলিতে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ, বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া সহ অন্যান্যরা ।এই রেলির পরে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ৪৭ তম ককবরক দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশিষ্টজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয় ।এই অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া সহ অন্যান্যরা ।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার ককবরক ভাষার বিকাশে আন্তরিক ।বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলেই প্রথম শ্রেণী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত সরকার এই ভাষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে ।কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ককবরক ভাষায় পিএইচডি কোর্স চালু করা হয়েছে ।মন্ত্রী জানান, রাজ্যের ১১৬৩ স্কুলে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ককবরক ভাষা রয়েছে। ১৩৩টি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ককবরক ভাষা রয়েছে। রাজ্যের ১১৫ টি স্কুলে নবম এবং দশম শ্রেণীতে ককবরক ভাষা রয়েছে এবং রাজ্যের ৬৫ টি বিদ্যালয়ে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ককবরক ভাষা চালু রয়েছে ।কৃষি মন্ত্রী আরো জানান, রাজ্যে ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র ছাত্রী ককবরক ভাষা রয়েছে।তিনি জানান 2022 সালে 3 হাজার 235 জন এবং ২০২৩ সালে ৩ হাজার ২৭৬ জন মাধ্যমিক পরীক্ষায় ককবরক ভাষায় পরীক্ষা দিয়েছেন। ২০২২ সালে ২ হাজার ৬০৫ জন এবং ২০২৩ সালে ৪ হাজার ৯ জন ছাত্রছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকে ককবরক ভাষায় পরীক্ষা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন ককবরক ভাষার অ্যাডভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান ডাক্তার অতুল দেববর্মা ,বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া। অনুষ্ঠানে চারটি ককবরক বইয়ের মলাট উন্মোচন করা হয় ।৬ জন বিশিষ্ট ককবরক শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।